সুন্দর গ্রীষ্মের স্বপ্ন দেখালেন জার্মানির টপ ভাইরোলজিস্ট
১০ মে ২০২১বার্লিন শারিটে ইনস্টিটিউটের প্রধান ভাইরোলিজিস্ট ক্রিস্টিয়ান ড্রস্টেন জনগণকে উৎসাহিত করে বলেন, ‘‘সকলের দায়িত্বশীল আচরণের কারণেই সম্ভবত সংক্রণের হার কমছে৷’’ তিনি আগেই সকলকে ধৈর্য ধরার কথা বলেছিলেন৷ যুক্তরাজ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের টিকাদান হয়ে গেছে, জার্মানিতে সে সংখ্যা এখন শতকরা ৩২ভাগ৷ যুক্তরাজ্যের মতো টিকাদান পৌঁছে গেলে মুক্ত এলাকায় আবার অনেক কিছু করা সম্ভব হতে পারে বলে দেশের নাগরিকদের উৎসাহ দেন৷
ক্রিস্টিয়ান ড্রস্টেন করোনা সংক্রমণের হার কমার গতি নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী৷ তার মতে টিকা নেওয়ার ফলাফল জুনের প্রথমদিকে বোঝা যাবে ৷ গ্রীষ্ম সুন্দর হতে পারে বলে আশার আলো দেখালেন ঘরবন্দি প্রায় ধৈর্যহারা জনগণকে৷ রোববার রাতে জেডডিএফ টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি৷
অন্যদিকে রোববার সন্ধ্যায় বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাভারিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোয়ডার বলেন, ‘‘আমরা এখনও বিপদমুক্ত নই, নতুন আইনে জুন পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পর হয়ত সামগ্রিক পরিস্থিতি আরো ভালো বোঝা যাবে৷’’ এই মুহূর্তে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণাধীন বলে মনে হলেও সতর্ক থাকা জরুরি৷’’
জার্মানির অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী পেটার আল্টমায়ারতো ধরেই নিয়েছেন যে জার্মানির ছোট বড় হোটেলগুলোতে গ্রীষ্মে আবারও অতিথিদের সমাগম হবে৷ রোববার সন্ধ্যায় টিভি চ্যানেল এআরডিকে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যগুলোর ধাপে ধাপে সবকিছু শুরু করা উচিত৷ এবং গ্রীষ্মে জার্মানিতে যেন ছুটি কাটানো সম্ভব হয় তার চেষ্টা করা দরকার৷’’
এদিকে পেটার আল্টমায়ারের সাথে একমত পৌরসভা অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী গ্যার্ড লান্ডসব্যার্গ৷ তার মতে হোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটন শিল্পসহ সকলেই অপেক্ষা করছে সুন্দর গ্রীষ্মের জন্য৷
জার্মানিতে বারো বছরের বেশি বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এই সিদ্ধান্ত খুব ভাল বলে মনে করেন টপ ভাইরোলজিস্ট ক্রিস্টিয়ান ড্রস্টেন৷
এনএস/কেএম (এএফপি)