1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুর বদল ট্রাম্পের, ক্যাপিটলে দোষীদের শাস্তি দাবি

১৪ জানুয়ারি ২০২১

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হাউসে পাস হওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের শান্ত থাকতে বললেন। তিনি বলেছেন, ক্যাপিটলের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।

https://p.dw.com/p/3ntCi
ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে অনুমোদনের পর সুর নরম করলেন ট্রাম্প। ছবি: Reuters/D. Mills

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব কি বদলে দিল ট্রাম্পকে? ক্যাপিটলের তাণ্ডবে উস্কানি দেয়ার জন্য হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হওয়ার কিছুক্ষণ পরে মুখ খুললেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেখানে কোনো গর্জন নেই। ভয় দেখানো নেই। বরং ট্রাম্প বললেন, ''আমার প্রকৃত কোনো ভক্ত কখনো রাজনৈতিক সহিংসতা করতে পারে না। তাই হাঙ্গামায় যারা যুক্ত ছিল, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।''

ট্রাম্প বলেছেন, ''স্পষ্ট কথায় সহিংসতার নিন্দা করছি। আমাদের দেশে, আমাদের কোনো আন্দোলনে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। কোনো অজুহাত নয়। কোনো ব্যতিক্রম নয়। অ্যামেরিকা হলো আইন মেনে চলা দেশ।''

ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা যেন আর কোনো অস্থিরতা না করেন। শান্তি বজায় রাখেন।

একদিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, যেভাবে তাঁকে ইমপিচ করার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে মানুষ খুবই ক্রুদ্ধ। কিন্তু হাউসে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর ট্রাম্পের গলায় ক্রোধের কোনো চিহ্ন ছিল না। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ওয়াশিংটনে শান্তিরক্ষার জন্য যেন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ট্রাম্প অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব নিয়ে একটি কথাও বলেননি। বিষয়টি তাঁর ভিডিও ভাষণের মধ্যে আনেননি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির দশ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সেই বিড়ম্বনা তো আছেই, তার উপর এখন সেনেটে এই প্রস্তাব আলোচিত হবে। তার আগে ট্রাম্প সম্ভবত আর নতুন করে বিতর্ক বাড়াতে চাননি। বরং সুর অনেকটাই নরম করেছেন। তবে তিনি সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে ব্যান করা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছেন, এটা হলো মতপ্রকাশ ও মুক্ত চিন্তার উপর আঘাত।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)