রানার পক্ষে কাজ করবেন না আইনজীবীরা
২৯ এপ্রিল ২০১৩সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ভবনের মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে যাশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকার একটি বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র্যাব৷ এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ঢাকা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, রানা গত বুধবার সাভারের ঐ ঝঁকিপূর্ণ ভবনে শ্রমিকদের ঢুকতে বাধ্য করেছিলেন৷ আর তার ফলে ভবন ধসে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়৷ তিনি জানান, রানা বেনাপোল হয়ে পাশের একটি দেশে পালানোর চেষ্ট করছিলেন৷ কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় র্যাব গোয়েন্দারা৷ তাকে পালানোর চেষ্টায় সহায়তাকারী তার দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে৷ ঢাকা জেলা পুলিশ জানায়, রানাকে সোমবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে৷ এরপর শুরু হবে তাকে জিজ্ঞাবাদ করা৷
এদিকে, আটক হওয়ার পর সোহেল রানা ডয়চে ভেলেকে জানান যে, যুবলীগের নেতা এবং সাভারের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ তার ঘনিষ্ঠ৷ সোহেল রানা জানান, ঘটনার সময় তিনি ভবনের পিছনের দিকে আন্ডার গ্রাউন্ডে তার অফিসে ছিলেন৷ ধসে আটকা পরলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার ইনসাফ হাসপাতালে পাঠায়৷ সেখানে ২ ঘণ্টা চিকিৎসা নেয়ার পর রানা পালিয়ে যান৷ তার দাবি, সে পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়েই ভবনটি নির্মাণ করেছেন৷
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কর্ণেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, রানা ইনসাফ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে এক বন্ধুর বাসায় রাতে থাকেন৷ পরদিন প্রথমে মানিকগঞ্জ চলে যায় তিনি৷ তারপর মানিকগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে ফরিদপুর এবং যশোরের ঝিকরগাছা হয়ে বোনাপোল পৌঁছান সোহেল রানা৷ বেনাপোলের বলফিল্ড এলকায় তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাহ আলম মিঠুর বাসায় তিনি অবস্থান করছিলেন পাশের দেশে পালিয়ে যাবার জন্য৷ র্যাব যখন তাকে গ্রেপ্তার করে, তখন তিনি সেই বাসায় বসে টেলিভিশন দেখছিলেন৷ র্যাব মিঠুকেও গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর৷
ওদিকে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা সোহেল রানাকে আইনী সহায়তা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, এত মানুষের প্রাণ গেছে যার কারণে তার জন্য কোনো আইনজীবীই কাজ করতে রাজি নন৷ তারা সোমবার এজন্য বৈঠকও ডেকেছেন৷ এই বৈঠকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আইনী সহায়তা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে৷