সৌদি আরবের সমালোচনায় কাতার
২২ নভেম্বর ২০১৭একটি কাতারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে জার্মানির বার্লিনে এসেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুর ‘ধোঁয়া’ তুলে সৌদি আরব কাতারের অর্থনীতির ক্ষতি করছে৷
উল্লেখ্য, কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ এনে গত জুলাইতে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করে৷ ফলে কাতার ঐ অঞ্চলে একা হয়ে পড়ে৷ প্রয়োজনীয় খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে, কাতার থেকে আকাশপথে চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে৷
২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দু'টি প্রভাবশালী দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়৷ কাতার ঐ আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও সৌদি আরব তার বিরোধী ছিল৷ এছাড়া ইরানের সঙ্গে কাতারের সুসম্পর্কের কারণেও সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছিল৷
কাতারের বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আল থানি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাতার আসলে সক্রিয়৷ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে বৈশ্বিক যে জোট গড়ে উঠেছে তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাতার৷’’
তিনি বলেন, কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী তাঁর দেশ৷ কিন্তু সৌদি আরব ও আরব আমিরাত আলোচনা করতে চায় না বলে অভিযোগ করেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, কথা বলতে না চাওয়ার অর্থ হচ্ছে, তারা যে নিরাপত্তা ইস্যুর বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে তা ঠিক নয়৷ কারণ তারা যদি সত্যিই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকত তাহলে সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসত৷
আল থানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ অবরোধ আরোপ করায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে৷ ‘‘শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে, খাবার ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে,’’ বলেন তিনি৷ ‘‘সৌদি আরব, ইউএই ও বাহরাইন ২৬ হাজারের বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে,’’ অভিযোগ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
এলিজাবেথ শুমাখার/জেডএইচ