1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবের সমালোচনায় কাতার

২২ নভেম্বর ২০১৭

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহামেদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি সৌদি আরবের সমালোচনা করে বলেছেন, দেশটি ‘অত্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল' করে তুলছে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2o1yP
শেখ মোহামেদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Sohn

একটি কাতারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে জার্মানির বার্লিনে এসেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুর ‘ধোঁয়া’ তুলে সৌদি আরব কাতারের অর্থনীতির ক্ষতি করছে৷

উল্লেখ্য, কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ এনে গত জুলাইতে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করে৷ ফলে কাতার ঐ অঞ্চলে একা হয়ে পড়ে৷ প্রয়োজনীয় খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে, কাতার থেকে আকাশপথে চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে৷

Qatar 'ready for dialogue'

২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দু'টি প্রভাবশালী দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়৷ কাতার ঐ আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও সৌদি আরব তার বিরোধী ছিল৷ এছাড়া ইরানের সঙ্গে কাতারের সুসম্পর্কের কারণেও সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছিল৷

কাতারের বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আল থানি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাতার আসলে সক্রিয়৷ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে বৈশ্বিক যে জোট গড়ে উঠেছে তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাতার৷’’

তিনি বলেন, কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী তাঁর দেশ৷ কিন্তু সৌদি আরব ও আরব আমিরাত আলোচনা করতে চায় না বলে অভিযোগ করেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, কথা বলতে না চাওয়ার অর্থ হচ্ছে, তারা যে নিরাপত্তা ইস্যুর বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে তা ঠিক নয়৷ কারণ তারা যদি সত্যিই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকত তাহলে সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসত৷

আল থানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ অবরোধ আরোপ করায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে৷ ‘‘শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে, খাবার ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে,’’ বলেন তিনি৷ ‘‘সৌদি আরব, ইউএই ও বাহরাইন ২৬ হাজারের বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে,’’ অভিযোগ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

এলিজাবেথ শুমাখার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য