1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি নারীদের পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

৮ অক্টোবর ২০১৬

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি সৌদি নারীদের উপর পুরুষদের কর্তৃত্ব বিষয়ক আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সৌদি আরবের নারীরা ঐ আইনের সংস্কার দাবি করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2R01G
সৌদি নারী, প্রতীকী ছবি
ছবি: Getty Images/AFP/F. Nureldine

পুরুষের অভিভাবকত্বের অবসানের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি নারীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অসংখ্য পোস্ট ও টুইট করে চলেছেন৷ প্রচলিত আইন নারীদের জীবনযাত্রার প্রতিটি বিষয় পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করার বৈধতা দেয়৷ অভিভাবক হতে পারেন নারীর বাবা বা স্বামী, এমনকি বড় ভাই, বা কোনো পুরুষ নিকট আত্মীয়৷ আর কিছুক্ষেত্রে ছেলে সন্তানও হতে পারে নারীর অভিভাবক৷ সারা জীবন সৌদি নারীদের এই অভিভাবকত্ব মেনে নিতে হয়, এটাই আইন৷

সৌদি আরবের সাধারণ নারী, ব্লগার এবং নারী অধিকার কর্মীরা #TogetherToEndMaleGuardianship এবং #StopEnslavingSaudiWomen হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন৷ এই আইন তাঁদের জীবনে কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করার এবং এই আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা৷ পড়ালেখা থেকে শুরু করে কাজ করা বা বিবাহ কোনো বিষয়ই নারীদের নিয়ন্ত্রণে নেই৷ তাই স্বাধীনতার কোনো স্বাদ পান না তাঁরা৷ অর্থাৎ পুরোটা জীবন অন্যের নিয়ন্ত্রণেই কাটাতে হয় তাঁদের৷

নারীদের এই প্রতিবাদ শুরুর পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এই প্রচারণায় সহযোগিতা করছে৷ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোতে ঐ হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করছে তারা৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটি ছিল কয়েকটি গ্রাফিকাল ভিডিও সম্বলিত, যেখানে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণে সৌদি নারীদের জীবন কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে৷ এই পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে কেবল অল্প বয়স্ক নারীরাই নয়, পরিবারের বয়স্ক নারীদের সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য নেই৷ 

সৌদি পুরুষরা যথারীতি এর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁরা আরবীতে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘পুরুষের অভিভাবকত্বে গর্বিত সৌদি নারীরা'৷ পাশাপাশি পুরুষ অভিভাবকত্বকে ধর্মের তকমা এঁটে প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা৷

সৌদি আরবের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিরাহ সাঈদী টুইট করেছেন, ‘‘কিছু পরিবারের এ ধরনের আইনের কারণে নারীরা অন্যায়ের শিকার হতে পারেন, তবে এ কারণে আইন বদলানো উচিত নয়, কেননা এটা শরিয়া আইন৷''

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বাইরেও মুসলিম আলেম ওলামারা এই প্রচারণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন৷ দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল শেখ সৌদি পত্রিকা ‘ওকাজ' কে বলেছেন, ‘‘পুরুষ অভিভাবকত্বের অবসান চাওয়া সুন্নি ইসলামবিরোধী এবং এটি একটি অপরাধ৷''

সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমোদন নেই৷

ফ্রান্সিস্কো পেরেজ/এপিবি

আশীষ চক্রবর্ত্তী 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান