সৌদি সরকার ও পুলিশকে দায়ী করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের মিনায় ঘটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা৷ পায়ের নীচে চাপা পড়ে মারা যান কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজি, আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৮৬৩৷
অনেকে এখনো নিখোঁজ৷ তাঁদের স্বজনরা দিশেহারা৷ প্রিয়জনকে খুঁজছেন তাঁরা আর সবার দোয়া চাইছেন৷
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানই হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন৷ কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মিনায় অন্তত চারজন বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ তবে মৃতের সংখ্যা আরো বেশিও হতে পারে৷
১৪ জন ভারতীয়ও প্রাণ হারিয়েছেন মিনার এই দুর্ঘটনায়৷
সৌদি আরবে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার হজ করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে অনেকের৷
বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া হৃদয় বিদারক ঘটনাটির কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে৷
ছোট জায়গায় এত লোক সমবেত হলে কোনো কিছু একটু এদিক-সেদিক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে – এমন সহজ ব্যখ্যা বেরিয়ে আসছে কোনো কোনো বিশ্লেষণে৷
মক্কার কেন্দ্রীয় হজ কমিটির প্রধান এত বড় দুর্ঘটনার জন্য কিছু আফ্রিকান হাজিকে দায়ী করেছেন৷
কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, হাজিদের দুটি স্রোতের মধ্যে ধাক্বাধাক্কি থেকেই ঘটনার সূত্রপাত৷
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন ভিন্ন কথা৷ তাঁদের মতে দুর্ঘটনার জন্য সরকার এবং পুলিশ দায়ী৷
ইতিমধ্যে কারণ অন্বেষণের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
তদন্ত শেষে কী সত্য বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ এদিকে মিনায় নিহত এবং আহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস৷
তাঁর আহ্বানের আগে থেকেই অবশ্য সারা বিশ্বে চলছে প্রার্থনা৷
সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম প্রধান দেশেই ঈদ-উল-আজহা পালিত হয়েছে বৃহস্পতিবার৷ ঈদের আনন্দের মাঝেই মিনায় শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল৷ তবে অনেক দেশের মুসলমানরা শুক্রবার ঈদ পালন করছেন৷ তাই অনেকে ঈদের আনন্দেও স্মরণ করছেন মিনায় প্রাণ হারানো হাজিদের৷
বাংলাদেশেও শুক্রবার ঈদ-উল-আজহা পালিত হচ্ছে৷ ঈদের নামাজেও মিনায় দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য দোয়া করা হয়েছে৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ