1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্যাটেলাইট জগতে প্রবেশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

জাহিদুল হক২৯ মার্চ ২০১৪

মহাকাশে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ৷ এজন্য বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যক্রম চলছে৷ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি৷

https://p.dw.com/p/1BXeG
ছবি: ESA/NASA via Getty Images

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিটিআরসি চলতি মাসের ৯ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ে স্যাটেলাইট প্রকল্পের একটি ‘বিজনেস প্ল্যান' উপস্থাপন করেছে৷

এতে বলা হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে৷ বাংলাদেশের ২৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ভাড়া বাবদ বিদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানিকে প্রতি বছর এই অর্থ দিয়ে থাকে৷

এছাড়া বিটিআরসি বলছে, স্যাটেলাইট প্রকল্প থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৭০ ভাগ আসবে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ভাড়া হিসেবে৷ উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট রয়েছে৷ তবে বিটিআরসি মনে করে, ঐ দুটি দেশের আরও চাহিদা রয়েছে৷ তাছাড়া নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের কাছ থেকেও অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছে বিটিআরসি৷

এভাবে অর্থ আয়ের কারণে বিটিআরসি মনে করছে, বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সাত বছরের মধ্যে প্রকল্পটি ব্রেকইভেন পর্যায়ে পৌঁছবে৷

পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,২৪৩ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে বিটিআরসি দেবে ১,৫৫৫ কোটি টাকা৷ আর বাকিটা আসবে বিদেশি উৎস থেকে৷ ছয়টি আন্তর্জাতিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেছে৷

স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য রুশ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ ডিগ্রি ইস্ট'এ একটি অর্বিটাল স্লট কিনবে বিটিআরসি৷ এক্ষেত্রে ১৫ বছরের জন্য খরচ হবে ২২ কোটি টাকা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য