হংকং-এ চীনা নিরাপত্তা অফিস চালু
৮ জুলাই ২০২০বুধবার হংকং এ নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য নতুন সদরদফতরের উদ্বোধন করল চীন। সপ্তাহখানেক আগেই অত্যন্ত বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন চালু করে দিয়েছে তারা।
চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, ''সেন্ট্রাল পিপলস গভর্নমেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হংকং-এর বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে অফিস খোলা হয়েছে।''
হংকং-এর ব্যস্ত এলাকা কজওয়ে বে-র মেট্রোপার্ক হোটেলই হলো জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নতুন অফিস। অবশ্য এ ব্যাপারে বিস্তারিত খবর এখনও আসেনি।
এএফপির সাংবাদিক জানিয়েছেন, হংকং সরকারের প্রতিনিধি ও পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা সংস্থার নামফলক সেখানে লাগানো হয়েছে। গত সপ্তাহে বেজিং এই নতুন নিরাপত্তা আইন চালু করেছে। যে আইনে দেশদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ, বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হংকং-এর ক্ষতি করার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠন, বিক্ষোভকারীদের দাবি, আসলে এই আইন করা হয়েছে প্রতিবাদরুখতে। হংকং যে ভাবে একের পর এক বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে, চীন তা বরদাস্ত করতে রাজি নয়। সে জন্যই এই আইন চালু করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা হবে। এই আইন অনুসারে চীনের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হংকং-এ কাজ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তি দেবে।
ইতিমধ্যে এই আইন নিয়ে যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপের দেশগুলি উদ্বিগ্ন। তার প্রভাব অন্যক্ষেত্রেও পড়ছে। রয়টার্স ও সিএনএন জানাচ্ছে, জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ টিকটক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে তারা হংকং থেকে চলে যাবে।
সম্প্রতি ভারতে এই চীনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অ্যামেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁরাও টিকটক সহ চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন। টিকটক জানিয়েছে, তার ডিজনির প্রাক্তন কর্তা কেভিন মোয়ারকে সিইও নিয়োগ করেছে। তারা কখনওই কোনও তথ্য চীনা সরকারকে দেয়নি। চীনের সরকারও কোনও তথ্য তাদের কাছে চায়নি। তাদের তথ্য ভান্ডার সবই চীনের বাইরে। সেখানে চীনের আইন প্রযোজ্য নয়। মনে করা হচ্ছে, অ্যামেরিকাকে খুশি করার জন্যই টিকটক হংকং ছাড়ছে। তবে তারা একা নয়, হংকং এর বহু সংস্থাই এই নিরাপত্তা আইন নিয়ে অখুশি।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, সিএনএন)