হনুমান জয়ন্তী: শান্তির বার্তা নিয়ে রাস্তায় রাজ্যপাল
৬ এপ্রিল ২০২৩রাজ্যপাল আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে যান লেকটাউনে হনুমান মন্দিরে। তারপর তিনি যান একবালপুরে। সেখানে ময়ূরভঞ্জ রোডের বাজারে তিনি ঘোরেন। একটি তরমুজের দোকানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দোকানির সঙ্গে। তরমুজের দাম জিজ্ঞাসা করেন।
এরপর ঘিঞ্জি গলি ধরে এগিয়ে চলেন। একটা জায়গায় একটি ব্য়ারিকেডের সামনে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, হাত মেলান। এমনভাবে কোনো রাজ্যপালের পথে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এভাবে মেলামেশা করার কোনো নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই।
রাজ্যপাল এরপর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ''এখানে শান্তি আছে এবং অশান্তি নেই দেখে ভালো লাগলো। বাংলা শান্তিস্তাপনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নিদর্শন হবে।''
একবালপুর থেকে তিনি যান পোস্তায়। সেখানে ছাতুর সরবৎ খান। নিজে দাম দেন। সেখানেও কোনো বিশেষ ব্যবস্থা তার জন্য করা হয়নি।
রিষড়ার অশান্তির পর কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যপালকে। এবার হনুমান জয়ন্তীতে শান্তির বার্তা নিয়ে তিনি রাস্তায় নামলেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী
দিন কয়েক আগেই রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাওড়া, হুগলিতে। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শুধু কলকাতাতেই রয়েছে অন্তত পাঁচটি মিছিল। দুইটি মিছিল হাওড়া থেকে এসে বড়বাজার, পোস্তায় শেষ হবে। একটি ভূতনাথ মন্দির ও একটি বন্দর এলাকায় বের হবে।
এই মিছিল নিয়ে প্রশাসন ও আদালতের চিন্তা রয়েছে। হনুমান জয়ন্তীতে শান্তি বজায় রাখার জন্যই আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। তারপর কলকাতা, হাওড়া, ব্য়ারাকপুর ও চন্দননগর কমিশনারেটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
চুঁচুড়া ও কামারহাটিতে সশস্ত্র পুলিশ রুট মার্চ করেছে। যেসব জায়গায় মিছিল যাবে, সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিছিলে কোনো অস্ত্র বা লাঠি নেয়া যাবে না। বাইক মিছিল করা যাবে না। ডিজে বাজানো যাবে না। মিছিলের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হবে।
হনুমান জয়ন্তী পালন করা নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, টিভি৯)