বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩হাইকোর্টের বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ধর্মীয় অপপ্রচার এবং উস্কানিমুলক একটি সংবাদ ফটোকপি করে তাঁর দপ্তরের কর্মচারীদের মাধ্যমে অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে বিলি করেছেন৷ শাহবাগ আন্দোলনে সক্রিয় ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার পর একটি বাংলা দৈনিক ১৮ই ফেব্রুয়ারি এই অপপ্রচারমূলক সংবাদটি পরিবেশন করে৷ বিচারপতি তাঁর নিজের দপ্তরের কাগজ, ফটোকপিয়ার ও খাম ব্যবহার করে তার অনুলিপি তৈরি করে সহকর্মীদের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেন৷ তাতে অন্য বিচারপতিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে জানান৷
এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ওঠে৷ অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান৷ যা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, সংবিধান অনুযায়ী এখন এই কাউন্সিল গঠন হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে৷ আর কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নেবেন৷
অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলেই অধিকতর তদন্ত এবং ব্যবস্থার জন্য কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, আগে বিচারপতিদের অপসারণ করতে জাতীয় সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন লাগত৷ পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান করা হয়৷ এই বিধানের একটি ভাল দিক হল যে এখন সহকর্মীরাই কোন বিচারকের অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারেন৷
বিচারপতি মিজানুর রহমান ২০০২ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন৷ আর হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন ২ বছর পর৷