হাইব্রিড প্রাণী: প্রকৃতির ইচ্ছা, নাকি বিবর্তন?
লাইগার, টাইগ্রন এবং গ্রোলার বেয়ার – না, এমনিতেই এমন নাম দেয়া হয়নি তাদের৷ এরা হাইব্রিড প্রাণী৷ অর্থাৎ দুই প্রজাতির সমন্বয়ে তৈরি তারা৷
প্রাণীদের দুনিয়ায় খামখেয়ালিপনা?
প্রায়ই হাইব্রিড প্রাণীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা হয়৷ কিন্তু প্রাকৃতিকভাবেও এটা ঘটে থাকে৷ বিশেষ করে এক প্রজাতির প্রাণী যখন অন্য কোথাও যায়, তখন সেখানকার প্রাণীদের সঙ্গে তাদের এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়৷ তখন হাইব্রিড সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হাইব্রিড
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বদলে যাওয়া এক প্রাণীর নাম গ্রোলার ভাল্লুক৷ ধুসরবর্ণের আর শ্বেত ভাল্লুকের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে এই ভাল্লুক৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শ্বেত ভালুক দক্ষিণের দিকে সরে গেছে, আর ধুসরবর্ণের ভাল্লুক সরেছে উত্তরে৷ এভাবেই তাদের মধ্যে ঘটছে মিলন৷
মুক্তভাবে ঘুরছে হাঙর
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা এক হাঙর সন্ধান পেয়েছে যেগুলো বিরূপ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে৷ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এসব শঙ্কর প্রজাতির হাঙরের দেখা মিলছে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে৷
হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
তবে এটা পুরোপুরি ইতিবাচক নয়৷ অনেকে আশঙ্কা করছেন, ক্রস-ব্রিডিং বা দুই প্রজাতির মধ্যে মিলনের ফলে হারিয়ে যেতে পারে শ্বেত ভাল্লুক৷
‘দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন উৎপাদকরা’
অনেক হাইব্রিড জেনেটিক অস্বাভাবিকতার শিকার৷ তারা সহজে বিভিন্ন রোগবালাইয়ের শিকার হচ্ছে, আর প্রায়শই বন্ধ্যা হয়৷ এরকম এক প্রাণীর নাম লাইগার৷ বাঘ এবং সিংহের সংমিশ্রণে তৈরি তারা৷
অপ্রত্যাশিত আগমন
চিড়িয়াখানায় হাইব্রিডের উৎপাদন ইচ্ছাকৃতভাবে তেমন একটা হয়না৷ কিন্তু প্রকৃতিকে থামানো কঠিন৷ দেখা গেলে একটি ভেড়ার সঙ্গে ছাগলের মিলন হয়ে গেলো৷ আর তখন জন্ম হয় গিপের৷ আয়ারল্যান্ডে তেমন এক প্রাণীকে দেখা যাচ্ছে৷
নিজের পথ খুঁজে নেবে প্রকৃতি
২০১৩ সালের ঘটনা৷ ইটালির ফ্লোরেন্সের চিড়িয়াখানায় হঠাৎ এক পুরুষ জেব্রা লাফিয়ে চলে গেলো পাশের এক নারী গাধার খাঁচায়৷ আর দু’জনের মিলনে সৃষ্টি হয় মিষ্টি এবং জংকির, নাম ইপো৷