হাথরাস যাওয়ার পথে সাংবাদিক সহ চারজন আটক
৬ অক্টোবর ২০২০হাথরাস নিয়ে নতুন অভিযোগ উত্তর প্রদেশ পুলিশের। তাদের দাবি, উত্তর প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গা ও অস্থিরতা তৈরি করার চক্রান্ত চলছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ১৯টি এফআইআর করেছে। তাতে দলিত নেতা চন্দ্রশেখর ও তাঁর ৪০০ জন কর্মী আছেন। বাকি এফআইআরে কোনো নাম নেই। কিন্তু চক্রান্ত ও দেশদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ এক সাংবাদিক সহ চারজনকে হাথরাস যাওয়ার পথে আটক করেছে।
পুলিশের দাবি, তারা খবর পায় দিল্লি থেকে কিছু সন্দেহভাজন লোক হাথরাস যাচ্ছেন। মথুরার কাছে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের ল্যাপটপ, মোবাইল ও কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, চার অভিযুক্ত আতিক-উর-রহমান, সিদ্দিকি, মাসুদ আহমেদ ও আলম উত্তর প্রদেশে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে জড়িত, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, এদের কাছ থেকে আপত্তিকর কাগজপত্র পাওয়া গেছে, যা রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।
হাথরাসে দলিত তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও অত্যাচারের পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পুলিশ মাঝরাতে পরিবারকে আটকে রেখে কী করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরেও মৃতার পরিবারকে পুলিশ ও প্রশাসন ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাথরাসে উচ্চবর্ণের লোকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তাতে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কও সামিল হয়েছেন। তা নিয়ে পুলিশ বা প্রশাসন একটা শব্দও খরচ করেনি। কিন্তু এখন যাঁরা দলিত পরিবারের ন্যায়ের জন্য প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লি দাঙ্গার ক্ষেত্রেও বিজেপির যে সব নেতা উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি পুলিশ। উত্তর প্রদেশ পুলিশও একই পথে চলেছে। হাথরসের ধর্ষণ ও হত্যাকে তারা ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। উল্টে তারা প্রতিবাদের জায়গাটাও কেড়ে নিতে চায় বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)