হুমকির মুখে বঙ্গোপসাগরের জীব বৈচিত্র্য
১৬ অক্টোবর ২০১০গত দেড়শ' বছরে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩০ ভাগ৷ প্রতিদিন বায়ুমণ্ডল থেকে ২২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নিচ্ছে সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি৷ সাগরে এখন কার্বন কনসেন্ট্রেশনের মাত্রা ৩৮০ পিপিএম৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া জানান, পানিতে কার্বন মিশে পিএইচের পরিমাণ কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে সাগরের অম্লতা৷ ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে এর জীব বৈচিত্র্য৷ ভেঙ্গে পড়ছে ইকো সিস্টেম৷ এ থেকে মুক্ত নয় বঙ্গোপসাগরও৷ অম্লতা বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক প্রাণীর গায়ে পচন ধরেছে৷ পাল্টে যাচ্ছে জীবন প্রক্রিয়া৷
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আছে ১৯ প্রজাতির জীবাশ্ম, ৩৬ প্রজাতির কঠিন এবং ১৩ প্রজাতির কোমল প্রবাল৷ আছে ১৯১ প্রজাতির শামুক ও ঝিনুক৷ ১০ প্রজাতির কাকড়া ছাড়াও ১৫৩ প্রজাতির শৈবাল৷ আছে ১৩৪ প্রজাতির মাছ৷ এর মধ্যে গত এক বছরে বিলুপ্ত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ টি প্রজাতি৷ এসিড যত বাড়বে আরো নতুন নতুন প্রজাতি বিপন্ন হবে৷
এদিকে সুনামির পর ভারত মহাসাগরের তলদেশে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের আগ্নেয় বিস্ফোরণ৷ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. দিলীপ দত্ত জানান, বঙ্গোপসাগরও এধরনের বিস্ফোরণের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে৷ আর বঙ্গোপসাগরে এমন বিস্ফোরণ হলে জীব বৈচিত্র্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই