1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেফাজতের স্বপ্ন ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ এপ্রিল ২০১৩

হেফাজতে ইসলাম ইসলামি দলগুলোকে এক করে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায়৷ দেশে ইসলামি শাসন কায়েমই হবে তাদের উদ্দেশ্য৷ আর ইসলামি শাসন কায়েম হলে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রী কোনো নারী হতে পারবেন না৷

https://p.dw.com/p/18Fvd
ছবি: picture-alliance/AP Photo

দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাওলান মঈনুদ্দিন রুহী জানান এ তথ্য৷

মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী ডয়চে ভেলেকে জানান, হেফাজতে ইসলাম নিজে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়৷ তবে হেফাজতে ইসলাম চায় দেশে ইসলামি শাসন কায়েম হোক৷ বাংলাদেশে একটি মুসলিম রাষ্ট্র, কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র নয়৷ ইসলামি শাসন কায়েমের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ আর সেজন্য ইসালামি রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হবে৷ তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম নিজে কোনো প্রার্থী দেবে না৷ তবে হেফাজতে ইসলাম সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার চিন্তা করছে৷ সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামকে তাদের জোটে নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জামায়াতের সঙ্গে তাদের আদর্শেরও মিল নেই৷ সুতরাং জামায়াতকে সমমনা ইসলামি জোটে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷

Bangladesch - Unruhen in Dhaka
হেফাজতে ইসলাম দেশে ইসলামি শাসন কায়েম করতে চায়ছবি: Getty Images

১৩ দফা দাবি নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্র নয় বলে তারা নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দেননি৷ কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্রে নারী নেতৃত্ব থাকতে পারে না৷ তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রী যেই হোন না কেন৷ তাই পুরোপুরি ইসলামের আইন-কানুন চালু করতে হলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দরকার৷ হেফাজতে ইসলাম চায় বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র হোক৷

মাওলান মঈনুদ্দিন রুহী বলেন, তাদের ১৩ দফা দাবির প্রতি দেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের সমর্থন রয়েছে৷ তবে সরকার তাদের ১৩ দফা নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ তার মতে, এইসব অপপ্রচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না৷ আগামী ৫ই মে তাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে তার প্রমাণ মিলবে৷ তিনি বলেন, এই কর্মসূচি সফল করতে তারা এখন সারা দেশে সভা-সমাবেশ করছেন৷

বিএনপি এবং জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত প্রশ্নে তিনি বলেন, এটাও সরকারেরর অপপ্রচার৷ সরকার হেফাজতের আন্দোলন ভন্ডুল করতে করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে৷

গণজাগরণ মঞ্চের সবাই নাস্তিক কিনা – এসন প্রশ্নের জবাবে মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘‘ওখানে নানা ধরণের অশ্লীল কাজ হয়৷ মোমবাতি জ্বালানো হয়৷ আর নারী-পুরুষ অবাধে মেলা মেশা করে৷ এটা ইসলাম বিরোধী৷ তাই তারা গণজাগরণ মঞ্চের অবসান চান৷''

হেফাজতে ইসলাম নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করলেও তাদের সঙ্গে সরাসরি ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল কাজ করছে৷ দলের নেতারা আবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও আছেন৷ এসব দলের কোনোটি আবার বিএনপির নেতৃত্ব ১৮ দলীয় জোটের সদস্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য