হেফাজতের স্বপ্ন ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম
১৫ এপ্রিল ২০১৩দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাওলান মঈনুদ্দিন রুহী জানান এ তথ্য৷
মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী ডয়চে ভেলেকে জানান, হেফাজতে ইসলাম নিজে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়৷ তবে হেফাজতে ইসলাম চায় দেশে ইসলামি শাসন কায়েম হোক৷ বাংলাদেশে একটি মুসলিম রাষ্ট্র, কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র নয়৷ ইসলামি শাসন কায়েমের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ আর সেজন্য ইসালামি রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হবে৷ তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম নিজে কোনো প্রার্থী দেবে না৷ তবে হেফাজতে ইসলাম সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার চিন্তা করছে৷ সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামকে তাদের জোটে নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জামায়াতের সঙ্গে তাদের আদর্শেরও মিল নেই৷ সুতরাং জামায়াতকে সমমনা ইসলামি জোটে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷
১৩ দফা দাবি নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্র নয় বলে তারা নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দেননি৷ কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্রে নারী নেতৃত্ব থাকতে পারে না৷ তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রী যেই হোন না কেন৷ তাই পুরোপুরি ইসলামের আইন-কানুন চালু করতে হলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দরকার৷ হেফাজতে ইসলাম চায় বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র হোক৷
মাওলান মঈনুদ্দিন রুহী বলেন, তাদের ১৩ দফা দাবির প্রতি দেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের সমর্থন রয়েছে৷ তবে সরকার তাদের ১৩ দফা নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ তার মতে, এইসব অপপ্রচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না৷ আগামী ৫ই মে তাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে তার প্রমাণ মিলবে৷ তিনি বলেন, এই কর্মসূচি সফল করতে তারা এখন সারা দেশে সভা-সমাবেশ করছেন৷
বিএনপি এবং জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত প্রশ্নে তিনি বলেন, এটাও সরকারেরর অপপ্রচার৷ সরকার হেফাজতের আন্দোলন ভন্ডুল করতে করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে৷
গণজাগরণ মঞ্চের সবাই নাস্তিক কিনা – এসন প্রশ্নের জবাবে মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘‘ওখানে নানা ধরণের অশ্লীল কাজ হয়৷ মোমবাতি জ্বালানো হয়৷ আর নারী-পুরুষ অবাধে মেলা মেশা করে৷ এটা ইসলাম বিরোধী৷ তাই তারা গণজাগরণ মঞ্চের অবসান চান৷''
হেফাজতে ইসলাম নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করলেও তাদের সঙ্গে সরাসরি ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল কাজ করছে৷ দলের নেতারা আবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও আছেন৷ এসব দলের কোনোটি আবার বিএনপির নেতৃত্ব ১৮ দলীয় জোটের সদস্য৷