হেফাজত বনাম গণজাগরণ
১৭ জুন ২০১৩তাজমুল আখতার তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী গণজাগরণ মঞ্চকে কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে৷ তাঁরা বলছেন, গণজাগরণের কারণেই হেফাজতের সৃষ্টি আর হেফাজতের কারণেই আওয়ামী লীগের পরাজয়৷ হেফাজত নাকি আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ধর্মবিরোধী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে পেরেছে৷
এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাজমুল আখতার বলছেন, আওয়ামী লীগ যখন মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল তখনো আওয়ামী লীগের গায়ে ‘ধর্মবিরোধী অপবাদ' লাগানো হয়েছিল৷ ‘‘কিন্তু ৫৪, ৭০ সালের নির্বাচনে এই অপবাদ কাজে লাগে নাই কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হইছিলেন৷ তৎকালীন আওয়ামী নেতাকর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে আসল কথাটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন৷''
১৯৯৬ আর ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালানো হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে মন্তব্য তাজমুল আখতার৷ ‘‘কিন্তু এই বার সরকারের সফলতার কথাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷ সুতরাং সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের দোষ আওয়ামী লীগের, গণজাগরণের না,'' মন্তব্য তাঁর৷
তাজমুল আখতারের এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছে ‘শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ৷ স্ট্যাটাসের নীচে অনেকে মন্তব্য করেছেন৷ রায়হান উদ্দীন বলছেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাওয়া আওয়ামী লীগের হারার কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন না৷
রুবেল চৌধুরীর মন্তব্য, যারা গণজাগরণ মঞ্চকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন তারা আসনে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন৷
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মো: সাদেক লিখেছেন, ‘‘আপনারা দেশের একতা ধ্বংস করেছেন৷ দেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্য আপনারাই দায়ী৷''
নুরুজ্জামান আকন্দ মানিক সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ গণজাগরণ মঞ্চ নয় বলে লিখেছেন, নাস্তিক ইস্যুটা কাজে লাগিয়েছে বিএনপি-জামাত৷
আজুল পেনা লিখেছেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার ইচ্ছা নাই আওয়ামী লীগের৷ ইচ্ছা থাকলে আরো আগেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতো৷ এখন পরবর্তী নির্বাচনে ভোট চাওয়ার জন্য রায় কার্যকরের ইচ্ছা প্রকাশ করে সেটা আটকিয়ে রাখবে৷''