বিদেশি সংস্থাকে বহিষ্কারের নির্দেশ
৫ অক্টোবর ২০১৮বেশিরভাগ সংস্থা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে৷
অ্যাকশনএইড বলছে, ‘‘এই নির্দেশের কারণে হাজার হাজার সাধারণ পাকিস্তানি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যাদের অধিকার রক্ষা ও উন্নত জীবনের জন্য অ্যাকশনএইড ক্রমাগত লড়াই করছে৷’’
‘‘অ্যাকশনএইড-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক এনজিও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের উপর যে হামলা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতা,’’ বলে মন্তব্য করেছে অ্যাকশনএইড৷
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান বিদেশি অর্থসহায়তাপ্রাপ্ত এনজিওর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে৷
২০১২ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র প্রচেষ্টার সাথে ‘সেভ দ্য চিলড্রন' জড়িত ছিল বলে দাবি করা হয়৷ সংস্থাটি সেই সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাদের বিদেশি কর্মীদের পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়৷
বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রমে নজরদারি বাড়াতে পাকিস্তান সরকার ২০১৫ সালে সেগুলো পুনর্নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়েছিল৷ এরপর গত বছরের শেষ দিকে কোনো কারণ না দেখিয়েই ২৭টি সংগঠনকে কাজ বন্ধ করে চলে যেতে বলেছিল পাকিস্তান৷
অ্যাকশনএইড-সহ আরো ১৭টি সংস্থা বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোরকম ব্যাখ্যা ছাড়া সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অ্যাকশনএইডের পরিচালক আব্দুল খালিক৷ সংস্থাগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে৷ ছয় মাস পর তারা আবার নিবন্ধনের সুযোগ পাবে৷
এসএস/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)