আলোচনায় ‘১/১১’ সরকার
১১ জানুয়ারি ২০১৩২০০৭ সালের ১লা নভেম্ভর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত নতুন এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়৷ আর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়ে বিদায় নেয়৷
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের মতে, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়৷ যাঁরা বাইরে ছিলেন তাঁদের রাখা হয় নজরদারিতে৷
১/১১'র সরকার চেষ্টা করে দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে৷ যা ‘মাইনাস টু থিওরি' নামে পরিচিতি পায়৷ তবে শেষ পর্যন্ত দু'বছরের মাথায় আন্দোলনের মুখে নত হয় ঐ সরকার এবং বাধ্য হয় দুই নেত্রীকে মুক্তি এবং নির্বাচন দিতে৷ এরপর ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে৷
শুক্রবার ১/১১'র প্রেক্ষাপট ও প্রাপ্তি নিয়ে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা হান্নান শাহ দাবি করেন, সেই সময়ের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার উদ্দেশ্য নিয়ে৷ আর সেই কারণেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের কোনো বিচার করেনি৷
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম অপর একটি অনুষ্ঠানে দাবি করেন যে, বিএনপিই ১/১১'র জন্য দায়ী৷ তাদের কারণেই দু'বছর একটি সেনা সমর্থিত অদ্ভুত সরকার জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল৷ শুধু তাই নয়, বিএনপি আবারো সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বলেও দাবি করেন আইন প্রতিমন্ত্রী৷
এদিকে, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আরেকটি ১/১১ এড়াতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই৷ তাই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তিনি বিরোধী দলকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারের চার বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দৈশ্যে ভাষণ দেন৷