২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ভারত?
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে কাতারে৷ গত সপ্তাহে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেল বলে বসেছেন, ভারত সেই বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করবে৷ তখন আবার ফিফার সাধারণ সম্পাদক জেরোম ভাল্কে প্যাটেলের পাশে বসে৷ এর কয়েক মিনিট পরেই এআইএফএফ এবং ফিফার মধ্যে একটি দশ বছর মেয়াদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ উদ্দেশ্য: ভারতে ফুটবলের বিকাশ ঘটানো৷
ভারতের ভারীশিল্প মন্ত্রী প্যাটেল আশাবাদী৷ তাঁর মতে ভারতীয় ফুটবল বহুদিন জড়ভরত হয়ে পড়ে থাকার পর এবার একটি লম্ফ দিতে চলেছে৷ কিন্তু বাস্তব অন্য৷ ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে ফুটবল খেলা হয় ঠিকই, যেমন টেলিভিশনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কিংবা স্প্যানিশ লা লিগা দেখানো হয়৷ নয়তো দেশজুড়ে ফুটবলের অবকাঠামো, টেলিভিশন দর্শক কিংবা স্পন্সর, কোনোটাই নেই৷ জাতীয় লিগ ফুটবল কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলেছে৷
ফুটবল সংক্রান্ত লেখক জয়দীপ বসু রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ভারতের জাতীয় দল বাছতে গেলে বড় জোর ৯০ জন খেলোয়াড় থেকে বাছতে হবে৷ এতো বড় দেশে যেখানে হাজার পঞ্চাশেক ‘সি' লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচের প্রয়োজন, সেখানে আছে মাত্র আড়াই হাজার৷ ৩২ রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১২টি রাজ্যে একটি প্রাদেশিক লিগ আছে৷
অথচ ভারতে যে ফুটবল জনপ্রিয় নয়, এ'কথা ভাবলে ভুল হবে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে মতো রাজ্যে, যেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগ থেকে ফুটবলের সঙ্গে একটি আবেগপূর্ণ আত্মিক সংযোগ আছে: যেখানে মোহনবাগান বনাম ইস্ট বেঙ্গল ডার্বিতে আজও লক্ষ দর্শকের ভিড় হয়৷ বায়ার্ন মিউনিখের অলিভার কান, মারাদোনা কিংবা লিওনেল মেসি, অতীত কি বর্তমানের যে কোনো নাম-করা প্লেয়ার কলকাতায় পা দিয়েই বুঝতে পারেন, এ'শহর আজও ফুটবলকে ভোলেনি, ফুটবলকে ভালোবাসে৷
কিন্তু আপাতত কী করা যায়? জয়দীপ বসু বলছেন, প্রথমে এশিয়ার প্রথম দশটি দলের মধ্যে একটি হবার চেষ্টা করতে হবে৷ অপরদিকে ফিফার জেরোম ভাল্কে বলেছেন, শ্রেষ্ঠ পন্থা হবে, ভারত যদি সত্যিই ২০১৭ সালের আন্ডার-সেভেন্টিন বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়৷ তবে দশ বছরের মধ্যেই যে ফিফা ভারত থেকে অর্থাগম আশা করছে, এমন নয়, বলেন ভাল্কে৷ আর ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ? এআইআইএফ'এর দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়, বলেছেন বসু৷
এসি / এসবি (রয়টার্স)