1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৫৪০ মিলিয়ন বছরে পাঁচবার বড় ধরণের প্রাণী বিলুপ্তির ঘটনা ঘটেছে

৭ মার্চ ২০১১

হাজার হাজার বছর ধরে চলা এই গণবিলুপ্তির ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা ‘বিগ ফাইভ’ নামে অভিহিত করে থাকেন৷ এর ফলে বিশ্বের ৭৫ শতাংশ প্রজাতি নাকি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, তেমনি আরেক গণবিলুপ্তির দ্বারে এখন মানব সভ্যতা৷

https://p.dw.com/p/10UPI
ছবি: AP

পৃথিবীর কোটি কোটি বছরের ইতিহাসে পরিবেশে বড় ধরণের যে পাঁচটি পরিবর্তন এসেছে তার ফলে লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণী চিরদিনের জন্য এই ধরণী থেকে মুছে গেছে৷ বিরাটাকৃতির ডায়নোসর তার মধ্যে অন্যতম যার কথা আমরা সকলেই জানি৷ বিগত কয়েক দশক ধরে প্রাণী বৈচিত্র্যের রূপ লক্ষ্য করে বিজ্ঞানীরা এখন আশঙ্কা করছেন যে নতুন আরেক বিলুপ্তির মুখে এখন গোটা পৃথিবী৷ আর এর ফলে আবারও হারিয়ে যাবে হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণী৷ ইতিমধ্যে তার কিছু আলামতও দেখা যাচ্ছে৷

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন৷ এই প্রাণী বিলুপ্তির কারণ হচ্ছে ব্যাপক হারে মানব বসতি, অতিরিক্ত প্রাণী শিকার ও মৎস আহরণ, বিভিন্ন ধরণের জীবাণুর বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের উষ্ণায়ন বৃদ্ধি৷ গত পাঁচশ বছরের আগ পর্যন্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিলুপ্তি তেমন একটা দেখা যায়নি, কিন্তু আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রাণী বিলুপ্তি বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে৷ অন্তত ৮০ প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণী ইতিমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন৷ যদিও পরিবেশে প্রাণী বিলুপ্তির বিষয়টি এত সহজে ঘটে না কিন্তু যে হারে এই বিলুপ্তি শুরু হয়ে গেছে তা বিগ ফাইভের মত আরও এক বিলুপ্তিকরণের সূচনা ঘটাতে চলেছে৷ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী তিন থেকে ২২ শতকের মধ্যেই এই গণবিলুপ্তির ঘটনা ঘটবে৷

ভাবছেন, হাতে তো অনেক সময় রয়েছে৷ তাহলে জেনে রাখুন, সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণী বিলুপ্তির ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছিল৷ আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটাকেউস যুগের শেষে বিশাল একটি ধূমকেতু কিংবা উল্কা পৃথিবীতে এসে আঘাত হেনেছিল ইউকাটান উপদ্বীপে যেটি আজ মেক্সিকো নামে পরিচিত৷ গোটা পৃথিবীতে বয়ে গিয়েছিল আগুনের ঝড়, আর তাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বিশালায়তন ডায়নোসর সহ বিশ্বের ৭৬ ভাগ প্রাণী৷ সুতরাং বিজ্ঞানীরা যে বিগ সিক্স এর আশঙ্কা করছেন সেটি যদি শুরু হয়ে যায় তাহলে কয়েক শতাব্দী পর হয়তো মানুষ বলেই এই পৃথিবীতে কিছু থাকবে না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক