‘৫৭ পাকসেনাকে আটক করেছিলাম আমরা’
৭ সেপ্টেম্বর ২০১১নড়াইলের বাসিন্দা শরীফ খসরু জামান৷ জীবনের বড় একটি সময় অবশ্য তিনি কাটিয়েছেন খুলনায়৷ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন শরীফ৷ তবে একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পরই শরীফ খুলনা থেকে নিজের এলাকা নড়াইলে ফিরে যান৷ সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মুক্তিকামী মানুষদের নিয়ে বাহিনী গড়ে তোলেন৷ উদ্দেশ্য পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করা৷ এজন্য নড়াইলের পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে অস্ত্রও সংগ্রহ করেন তারা৷ সুসজ্জিত শত্রুসেনার মোকাবিলা করতে এসব অস্ত্র যথেষ্ট ছিল না, তবুও সাহসের কমতি ছিলনা মুক্তিযোদ্ধাদের৷
শরীফ খসরু জামান যুদ্ধের সময় ভারতে ‘‘লীডারশীপ'' প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ কয়েক সপ্তাহের সেই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ফিরে আসেন যুদ্ধক্ষেত্রে৷ ভাটিয়াপাড়া নামের একটি এলাকা শত্রুমুক্ত করার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে৷ বিশেষভাবে নির্বাচিত একদল মুক্তিসেনা নিয়ে সেপ্টেম্বরে সেই অভিযান শুরু করেন শরীফ৷
একাত্তরের ডিসেম্বরে শরীফের নেতৃত্বে মুক্তিসেনারা নড়াইলে প্রবেশ করে৷ তখন শত্রুসেনাদের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ হয়৷ সে যুদ্ধে জয়ী হয় মুক্তি সেনারা৷ বেশ কয়েকজন পাক সেনাকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা৷ মানবিক বিবেচনায় সেসব সেনাকে হত্যা না করে, কারাগারে পাঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা৷ শরীফের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের আট তারিখ শত্রুমুক্ত হয় নড়াইল৷
মুক্তিযুদ্ধের পর দেশগড়ার কাজে মনোযোগী হন শরীফ৷ খুলনা এবং নড়াইল - উভয় জেলাতেই বিশেষভাবে পরিচিত রাজনীতিবিদ তিনি৷ একাধিকবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন এই বীর সেনা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক