অক্টোবরফেস্টে বিয়ার পান ছাড়াও যা করা যায়
কংগা, স্কাইফল, টোবোগান এবং ফেরিস হুইল – এসবের একটা উদ্দেশ্য আছে৷ তা হচ্ছে, আপনাকে ভয়ঙ্কর এক অনুভূতির স্বাদ পাইয়ে দেয়া৷ অক্টোবরফেস্টে বিয়ার পানের পর অনেকেই এসবে চড়েন৷ তবে বিয়ার ছাড়াও চড়া যায়৷
‘চেয়ার-ও-প্লেন’
এই রাইডের শুরুটা সহজই হয়৷ চেয়ারগুলো শান্তভাবে উপরে উঠতে থাকে আর স্পিডও বাড়তে থাকে৷ কিন্তু উপরের দিকে গিয়ে হঠাৎ করে গতি যায় বেড়ে৷ ফলে মনে হয়, আপনি বুঝি ভাসতে শুরু করেছেন৷ তবে এটা অন্যান্য রাইডের চেয়ে কম ভয়ানক৷
‘টাওয়ার চেয়ার-ও-প্লেন’
এই রাইডটিও আগেরটির মতো৷ তবে অনেক বেশি এক্সাইটিং৷ এক্ষেত্রে ২৪টি চেয়ারে বসা রাইডারদের ৫৫ মিটার উঁচুতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এরপর সেটি প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে শুরু করে৷ ভয় কাটিয়ে বিষয়টি উপভোগ করতে পারলে মনে হবে আপনি পাখির মতো উড়ছেন৷ তবে এই রাইড কিছুটা ভীতিকরও৷
‘অলিম্পিয়া লুপ-দ্য-লুপ’
এই রাইডটিকে শুধু রোলার কোস্টারের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে৷ এটি আরো বেশি রোমাঞ্চকর৷ ১৯৮৯ সালে এটিকে অক্টোবরফেস্টে যোগ করা হয়৷ রাইডটির পাঁচটি লুপের উচ্চতা ১২ থেকে ২০ মিটার অবধি৷ রাইডারদের ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছেড়ে দেয়া হয়৷
স্কাইফল
আগের দুটি রাইডের চেয়েও রোমাঞ্চকর হচ্ছে স্কাইফল৷ তবে যাদের উচ্চতা ভীতি রয়েছে কিংবা পেটের অবস্থা নাজুক, তারা এতে না চড়লেই ভালো৷ রাইডের যাত্রীদের প্রথমে ৭৫ মিটার উচ্চতা অবধি নিয়ে যাওয়া হয়৷ তারপর সোজা নীচের দিকে ছুড়ে দেয়া হয়৷ অনেকটা বাঙ্গি জাম্পের মতো ব্যাপার৷
কঙ্গা
এটা এক ভয়ঙ্কর দোলনা৷ রাইডাররা একসময় ওজনশূণ্য অবস্থা অনুভব করবেন, আবার পরক্ষণেই পড়বেন প্রচণ্ড চাপের মুখে৷ সাহস থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷
‘ডেভিল’স হুইল’
ডেভিল’স হুইল হচ্ছে একটি ভিত্তি৷ এই ভিত্তির উপরে সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকাটা হচ্ছে লক্ষ্য৷ তবে কাজটা মোটেই সহজ নয়৷ অক্টোবর ফেস্টের অন্যতম পুরাতন আকর্ষণ এটি৷
‘জায়ান্ট স্লাইড’
বাভারিয়ার রং নীল-সাদার এই জায়ান্ট স্লাইড অক্টোবরফেস্টের আরেক আকর্ষণ৷ পরিবার নিয়ে যারা মেলায় যান, তাদের জন্য এটি আদর্শ৷
‘ফেরিস হুইল’
সন্ধ্যার দিকে বর্নীল সব আলোকচ্ছটায় ছেয়ে যায় অক্টোবরফেস্ট৷ আর তা উপভোগের এক অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘ফেরিস হুইল’ রাইডে চড়া৷ এটি থেকে আপনি আল্পসের চূড়া দেখতে পাবেন৷
শতাধিক রাইড
অক্টোবরফেস্ট অনেকের কাছে শুধু বিয়ার পানের মেলা মনে হলেও এখানে রয়েছে শতাধিক রাইডের ব্যবস্থা৷ সব বয়সের মানুষের বিনোদনের আয়োজন রয়েছে জার্মানির অন্যতম জনপ্রিয় এই আনন্দমেলায়৷