ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড
১৯ নভেম্বর ২০১২এদিকে আইন থাকলেও রাজধানী ঢাকার ৯৫ ভাগ বহুতল ভবনেই নেই সঠিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা৷
বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ছোট বড় মিলিয়ে ১৫ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ তবে এবছর অক্টোবর মাসের মধ্যেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে৷ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শাহীদুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, মানুষের সচেতনতার অভাবে অনেক সময় সাধারণ আগুনও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে৷ তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যানজট, সরু রাস্তা ও পানির অভাবে অনেক সময়ই তারা সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আগুন নিভাতে পারে না৷ সাধারণ মানুষ কোন কোন সময় না বুঝে তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে৷ ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়৷
তিনি বলেন, বস্তি বা ঘনবসতি এলাকা ছাড়াও রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷ কারণ ভবন নির্মাণের নীতিমালা তারা মানছে না৷ নীতিমালায় বহুতল ভবনে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও শতকরা ৯৫ ভাগ ভবনে তা ঠিকমতো নাই৷
শাহীদুল্লাহ জানান, তাদের জনবল, যানবাহন এবং ফায়ার স্টেশনও পর্যাপ্ত নয়৷ তাদের জনবল আছে সাড়ে ৬ হাজারের মতো৷ ফায়ার স্টেশন আড়াইশ'৷ তবে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে তাদের পরিকল্পনা আছে৷ অর্থ পেলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে৷ আর ওয়াসার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে যে তারা ফায়ার সার্ভিসের জন্য আলদাভাবে পানির পয়েন্ট তৈরি করবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়৷
তিনি জানান, তবে নগরিকদের সচেতনতা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেক কমিয়ে আনতে পারে৷ আর হা- হুতাশ না করে ঠান্ডা মাথায় এগুলে অগুনের শুরুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব৷ তাহলে হয়তো আগুনে নিমতলী বা বউবাজার বস্তির এই বিশাল ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা যেতো৷