অনশনের শহর মাদায়া
গত তিন মাস ধরে অনশনে মৃত্যুর বিরুদ্ধে যুঝছে মাদায়ার আবালবৃদ্ধবনিতা৷ তবে অবশেষে সেই মৃত্যুর শহরে মানবিক সাহায্য পৌঁছতে শুরু করেছে৷
শহরে আটক
আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী ও আইএস যোদ্ধাদের দখলে মাদায়া৷ শহরটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আসাদ সমর্থক ও হেজবোল্লা গোষ্ঠীর যোদ্ধারা৷ ফলে কোনো রসদ শহরে ঢুকতে পারছিল না, মানুষজন এমনকি ঘাসপাতা খেয়ে বেঁচে ছিলেন৷
জল আর নুন
আস্তাকুঁড়ে খাবারের খোঁজে মানুষ, গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে সিরিয়ায় এ ধরনের দৃশ্য কল্পনা করা যেত না৷ মা দুধের বদলে বাচ্চাকে জলে নুন গুলে খেতে দিচ্ছেন৷
অশনি সংকেত
যে ভিডিও থেকে এই শিশুটির ছবি নেওয়া হয়েছে, সেটি তোলা হয় ২০১৬ সালের ৫ই জানুয়ারি৷ শীতের মৌসুম চলেছে, কাজেই ক্ষুধা ও অপুষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাড়কাঁপানো শীত৷
কষ্ট তো ছোটদেরই
বড়দের যুদ্ধে যারা সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়, তারা হলো ছোটরা৷ অক্টোবর মাস থেকে মাদায়ায় বাইরে থেকে কোনোরকম সাহায্যই যে পৌঁছায়নি৷
মানবিক ট্র্যাজেডি
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মানুষকে যখন ঘাসের রুটি খেতে হয়, তখন সেটাকে ট্র্যাজেডি ছাড়া আর কী বলা চলতে পারে...৷
প্রতিবাদের ঝড়
যেমন সিরিয়ার ইদলিব শহরে৷ বিক্ষোভকারীরা চান, মাদায়ায় ত্রাণ পাঠানো হোক – আর চান গৃহযুদ্ধের অন্ত৷
সাহায্য পৌঁছাবে কেমন করে
মাদায়া থেকে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে একাধিক মানুষ গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন৷ জুলাই মাস থেকেই মাদায়া অবরুদ্ধ, কাজেই সেখানে ত্রাণসাহায্য পাঠানো কঠিন৷
সাহায্য যখন পৌঁছাতে শুরু করল
সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল-আসাদের অনুমতি পাবার পর জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও সেই সঙ্গে রেড ক্রস ও রেড ক্রেসেন্ট ত্রাণসাহায্য পাঠাতে শুরু করে৷
অন্যান্য ভুখা শহর
মাদায়াই শুধু নয়, সেই সঙ্গে একেবারে উত্তরে অবস্থিত আরো দু’টি শহরে ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে৷ শিয়া অধ্যুষিত ফুয়া ও কফারিয়া শহর দু’টি অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিদ্রোহীরা, কিন্তু মানুষজনের অবস্থা মাদায়ারই মতো৷ কেননা যুদ্ধে দু’পক্ষ থাকতে পারে, অনশনে নয়৷