অনাস্থা বিতর্কে রাহুল বনাম মোদী
৮ আগস্ট ২০২৩প্রথমে ঠিক ছিল, বিরোধীদের তরফে রাহুল গান্ধী অনাস্থা বিতর্ক শুরু করবেন। কিন্তু শেষমুহূর্তে কৌশল বদল করলো বিরোধীরা। রাহুল মঙ্গলবার বলেননি। বৃহস্পতিবার বলবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেদিন রাহুল বলতে পারেন।
সংসদীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন, ''১১টা ৫৫ মিনিটে স্পিকারের অফিসে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, রাহুলই বিতর্ক শুরু করবেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কী এমন হলো যে, রাহুল নয়, গৌরব গগই বিতর্ক শুরু করলেন?''
বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শেষ বলে তিনি ছক্কা মারবেন। অনাস্থা বিতর্কের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের যুক্তি উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করবেন তিনি। আর অনাস্থা বিতর্ক থেকে এইভাবেই রাজনৈতিক লাভ তুলবে বিজেপি।
সূত্র জানাচ্ছে, সেজন্যই রাহুলকে প্রথম দিনের জন্য রাখতে চাননি কংগ্রেস নেতারা। তারা চান, রাহুলও বৃহস্পতিবার বলুন। তাহলে মোদী বনাম রাহুল দ্বৈরথ দেখা যাবে। আর যদি বুধবার বলতে চান রাহুল, তাহলেও লড়াইটা তিনি উচ্চগ্রামে নিয়ে যাবেন। তার আগে দেখে নেবেন, বিজেপি কোন দিক থেকে বিরোদীদের আক্রমণ করতে চাইছে।
কংগ্রেসের প্রশ্ন
গৌরব গগই বিতর্ক শুরু করে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনটি প্রশ্ন করতে চান। রাহুল গান্ধী, অমিত শাহ মণিপুর গেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি? প্রধানমন্ত্রী কেন ৮০ দিন পর মণিপুর নিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড বলেছেন? এত সহিংসতার পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাচ্ছেন না?
বিজেপি-র আক্রমণ
বিজেপি-র পক্ষ থেকে প্রথমে বলেন নিশিকান্ত দুবে। তার নিশানায় ছিলেন মূলত রাহুল ও সোনিয়া। নিশিকান্ত বলেন, ''সুপ্রিম কোর্ট রাহুলের মামলা নিয়ে কোনো রায় দেয়নি। স্থগিতাদেশ দিয়েছে মাত্র। রাহুল বলছেন, তিনি সাভারকর হবেন না। অনেক চেষ্টা করেও তিনি তা হতে পারবেন না।''
আর সোনিয়ার প্রসঙ্গে নিশিকান্ত বলেন, তিনি একেবারে ভারতীয় মেয়েদের মতো। ছেলে ও জামাইকে আগলে রেখেছেন।
তৃণমূলের বক্তব্য
তৃণমূলের তরফে বলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ''মণিপুরে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে? অথচ, নিশিকান্ত মণিপুর নিয়ে কোনো কথাই বললেন না।''
সৌগত বলেন, ''জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার চাকরি দিতে পারছে না। মোদী সংসদে কোনো প্রশ্নের জবাব দেন না। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন।''
জিএইচ/এসজি(লোকসভা টিভি, পিটিআই, এনডিটিভি)