অনুব্রতের অসুস্থতা, সিবিআই ও মানুষের ধারণার কাহিনি
৭ এপ্রিল ২০২২সিবিআই-কে অনুব্রত বলেছেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে জেরা করতে পারে। কিন্তু তিনি সিবিআই অফিসে যেতে পারবেন না। ডাক্তারদের রিপোর্টও সিবিআইকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সিবিআই এই নিয়ে চারবার গরুপাচার-কাণ্ডে অনুব্রতকে ডেকে পাঠালো। একবারও তিনি সিবিআই অফিসারদের জেরার মুখোমুখি হননি। মঙ্গলবার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, কিন্তু বুধবার শরীর খারাপ হয়েছে বলে তিনি এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে যান। সেখান থেকে সিবিআই-কে চিঠি পাঠান।
সূত্র জানাচ্ছে, অনুব্রতের চিঠি দিল্লিতে সিবিআই সদরদফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আইনজীবীদের রায় নেয়া হচ্ছে এই ব্যাপারে।
সিবিআই কী করতে পারে?
সিবিআই এখন বেশ কয়েকটি বিকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। তার মধ্যে আছে, নিজেদের চিকিৎসক দল গঠন করে অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা কেমন তা দেখা। দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করা, তৃতীয়ত, আদালতের দ্বারস্থ হওয়া এবং তাদের নির্দেশে অনুব্রতকে জেরা করা। চতুর্থত, অনুব্রতের শরীর ভালো হওয়ার অপেক্ষা করা এবং তারপর তাকে জেরা করা। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই পথ বেছে নেবে সিবিআই।
লালবাতি লাগানো গাড়ি
অনুব্রতের গাড়ির মাথায় লালবাতি লাগানো আছে। নিয়ম হলো, জেলার মধ্যে লালবাতি পেলে জেলার বাইরে গেলে তা ঢাকা দিয়ে রাখতে হয়। অনুব্রতের গাড়িতে তা ঢাকা দেয়া ছিল না। সিবিআই অফিসাররা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনুব্রত অবশ্য বিশেষ নিরাপত্তা পান। সেজন্য জেলাশাসকের অনুমতিতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা জেলার ভিতরে। কলকাতায় লালবাতি লাগানো গাড়িতে এলেও, অনুব্রত লালবাতি জ্বালাননি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লোকের ধারণা ও অনুব্রত
প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''চিকিৎসকদের মতামতের উপর তো আমরা সাধারণত কিছু বলতে পারি না। তবে একটা কথা বলা যেতে পারে, এটা ভারতে চেনা ছক।'' তার মতে, ''সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো করে এই ঘটনার একটা অর্থ করে নিচ্ছেন। আসলে 'চড়াং চড়াং', 'গুড়-বাতাসা'-র মতো কথা বলে দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য বিখ্যাত। মানুষের মনে এই ধারণা হচ্ছে, তিনি এখন ভয় পেয়ে হাসপাতালে। এই ধারণায় তারা কিঞ্চিত মজাই পাচ্ছেন।''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)