অপশক্তিগুলো মাথা চাড়া দিয়েছে
২ অক্টোবর ২০১৩সামহোয়্যার ইন ব্লগে এ খবরটিই তুলে দিয়েছেন ব্লগার আহমেদ বায়েজীদ৷ তবে তুহিন সরকার আমার ব্লগে দেখিয়েছেন কীভাবে ট্রাইব্যুনাল এবং আইন মন্ত্রণালয়ের বাইরে থেকেও তা করা সম্ভব৷ একই ব্লগে আরেকটি লেখাও রয়েছে তাঁর৷ লেখাটির শিরোনাম, ‘‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ-এর জাতীয় সমাবেশ'৷ সেখানে তুহিন লিখেছেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ পরাজিত শক্তি দ্বারা আজ আক্রান্ত৷ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হায়েনাদের পরাজিত করেছি, আবারও সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরাজিত শক্তিকে পরাস্ত করি৷ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ বিচারকে কেন্দ্র করে অপশক্তিগুলো আবার মাথা চাড়া দিয়েছে, ওদের মাথা বাঙ্গালী জাতির পদতলে পিষ্ট করতে হবে৷ আসুন সম্মিলিতভাবে পরাজিত হায়েনাদের দোসর জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই৷ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে জামায়াতের ধর্মের নামে বিষবাষ্প ছড়ানোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, নারীসমাজ ও মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ, আজও তেমনি ভাবে জামায়াত-শিবির সেই অপচেষ্টায় লিপ্ত৷''
ব্লগ পোস্টে কিছু তথ্যও দিয়েছেন তুহিন সরকার৷ জামায়াতে ইসলামি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘‘জামায়াত-শিবির সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তারা হামলা চালাচ্ছে, শহীদ মিনার এমনকি আমাদের জাতীয় পতাকা আজ তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত৷ মসজিদে আগুন, জায়নামাজ পুড়িয়ে ফেলা ইমাম সাহেবকে নামাজে বাধা প্রদান সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের কথা মুসলমানের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেয় নিজেদের স্বার্থচরিতার্থ করার জন্য৷'' উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও' এর ব্যানারে পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ আয়োজনের কথাও জানানো হয়েছে৷ দফাগুলো হলো, ১. জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ২. যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করা, ৩. সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করা এবং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো, ৪. মুক্তচিন্তার পথ খোলা রেখে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নেয়া এবং ৫. তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা প্রতিহত করার পাশাপাশি নারীর অধিকার সমুন্নত রাখা৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন