অবহেলা, নির্যাতনের শিকার প্রাণীদের ভালোবাসা দিবস
তাদের ভালোবেসেই বাড়িতে নিয়েছিল কিছু মানুষ৷ সাময়িক খেয়ালের সেই ভালোবাসা ফিকে হতেই শুরু হয় অবহেলা, নির্যাতন৷ ফিলিপাইন্সে সেরকম কিছু প্রাণীর সঙ্গে ভালোবাসা দিবস কাটিয়েছেন পশুপ্রেমীরা...
অবহেলার জীবন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ফিলিপাইন্সেও পশুদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের দৃষ্টান্ত অনেক৷ ওপরের ছবির মতো অবহেলা, অনাহারে দুর্বল হয়ে পড়া কুকুর এশিয়ার এই দেশের প্রায় প্রতি শহরেই দেখা যায়৷
পশুদের বন্ধু
ফিলিপাইন্স অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার (পিএডাব্লিউএস বা পজ)-এর মূল কাজ পশুকল্যাণ৷ ঘরে অবহেলা, নির্যাতনের শিকার, কিংবা ঘর-হারা রাস্তার প্রাণীদের উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরে রাখে তারা৷
কুকুর-বিড়ালদের ভালোবাসা দিবস
ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলাভিত্তিক সংগঠন পিএডাব্লিউএস বা পজ এ বছর তাদের আশ্রয় শিবিরের কুকুর-বিড়ালদের জন্যও ভ্যালেন্টাইন্স ডে (বাংলাদেশে যা ভালোবাসা দিবস) উদযাপনের ব্যবস্থা করে৷এক দিনের জন্য পশমি শরীরের প্রাণীরা ভালোবাসা পায় মানুষের কাছ থেকে৷
‘ফার ডেট’
কুকুর, বিড়ালদের এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ফার ডেট’, যার অর্থ পশমি শরীরের প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানো৷ ম্যানিলার আশ্রয় শিবিরটিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে এভাবে সময় কাটাতে সব দর্শনার্থীকে ৭৫০ পেসো (১৩ ডলার) দামের টিকিট কাটতে হয়েছে৷ টিকিটের সঙ্গে কুকুর, বিড়ালদের দেয়ার জন্য স্ন্যাকস এবং উপহার সামগ্রীও পেয়েছেন তারা৷
উদ্দেশ্য
৬৫টি কুকুর, ১৭০টি বিড়াল ও আরো কিছু প্রাণীর জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনের ব্যবস্থা করার কারণ জানাতে গিয়ে পিএডাব্লিউএস বা পজ-এর ক্যাম্পেইন অফিসার শ্যারন ইয়াপ বলেন, ‘‘এই ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা ওদের (আশ্রিত প্রাণী) দেখাতে চেয়েছি যে বাইরের সব মানুষ তাদের কষ্ট দেয়ার মতো নয়৷’’
চিয়া লানেস-এর আনন্দ
চিয়া লানেস ভ্যালেন্টাইন্স ডে কাটিয়েছেন এক কুকুরের সঙ্গে৷দিন শেষে ২৯ বছর বয়সি তরুণী বলেন, ‘‘এখানকার আশ্রিত প্রাণীদের অতীতে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা কখনোই কাম্য নয়৷ ওদের আসলে একদিনের এই ভালোবাসার চেয়ে অনেক বেশি কিছু প্রাপ্য৷’’