নির্বাচনে বাধা দিতে বিএনপি অপকর্ম করছে : কূটনীতিকদের মোমেন
৩০ অক্টোবর ২০২৩সোমবার তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন৷ দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্রিফিং শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আমাদের অপজিশন পার্টি বিএনপি শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করার নাম নিয়ে সারাদেশে প্রলয়ঙ্করী অবস্থার সৃষ্টি করে৷ তারা অনেক সরকারি-বেসরকারি গাড়িঘোড়া জ্বালান৷ তারা এমনকি একজন পুলিশ সদস্যকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেন৷ দুনিয়ার কোনো দেশে যারা এই সিকিউরিটির কাজে নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে হত্যা করেন না৷ কিন্তু এখানে অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে৷ এটা জাতির জন্য দুঃখজনক৷ বিশেষ করে যারা এইটা করেছেন, তাদের জন্যে এইটা লজ্জার এবং তাদের এই জন্যে শাস্তি পাওয়া উচিত৷’’
শনিবার প্রধান বিচারপতির বাড়িতে এবং হাসপাতালে হামলার ঘটনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘এগুলো শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা, শান্তিপূর্ণ র্যালির অংশ নয়। যারা এইসব কাজ করেছেন আমরা তাদের এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হওয়া উচিত৷’’
সরকার স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিএনপি তা বানচাল করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ আব্দুল মোমেন বলেন, "বিএনপির লোকেরা দেশে একটি রামরাজত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করে৷ মূল উদ্দেশ্য আসছে নির্বাচন৷ আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে, আমরা একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করবো৷ সেটাকে বানচাল করার মতলবে তারা এই ধরনের অপকর্ম করেছে৷’’
নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘...আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করবো৷ এখানে স্টেপডাউন, জোর-জবরদস্তি করে সরকার পতনের এই বাসনা দূর করেন৷’’
কূটনীতিকরা তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সেটাতো আপনারা উনাদের জিজ্ঞেস করবেন৷ উনারা কনভিন্স কি, কনভিন্স না? সেটা উনারা বলবেন৷’’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা কোনো মন্তব্য বা প্রশ্ন করেননি৷ এই ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, "আমরা কিন্তু বলছি না সাইলেন্স মানে কমপ্লিটলি এগ্রি করেছেন উনারা৷ আমরা এমনও বলছি না সাইলেন্স মানে ডিসএগ্রি করেছেন৷ আমরা যেটা বলছি সেটা হচ্ছে উনাদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল৷ উনারা কোন প্রশ্ন করেন নাই৷ তার মানে আমরা যতটুকু বুঝতে পারি যে, আমরা যে ব্যাখ্য দিয়েছি সেটা অন্তত পক্ষে পরিষ্কার হয়েছে৷ উনারা কনভিন্স কি কনভিন্স না? সেটা বলার দায়িত্ব আমার না। সেটা বলার দায়িত্ব উনাদের৷’’
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়৷ সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ দু‘জন নিহত হন৷ নিহত অপর ব্যক্তিকে যুবদলকর্মী বলে দাবি করে বিএনপি৷
এমকে/এফএস