1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসন অংশীদারি কেমন সামলাচ্ছে জার্মানি?

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অভিবাসীদের অনিয়ন্ত্রিত আগমন পুরোপুরি থামাতে না পারলেও বিভিন্ন দেশের মধ্যে অভিবাসন নিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে পারে ৷

https://p.dw.com/p/4cKJ0
জার্মানির বার্লিনের অভিবাসন কার্যালয়
অভিবাসীদের অনিয়ন্ত্রিত আগমন ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করছে জার্মানিছবি: Vladimir Menck/SULUPRESS/picture alliance

এমন বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে জার্মানি গত কয়েক বছরে৷

জানুয়ারিতে মরক্কোর রাজধানী রাবাত সফরকালে জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী স্ভেনিয়া শুলৎজে মরক্কোর সাথে নতুন সহযোগিতার কথা বলেন৷

কয়েক দিন পর, ৬ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজার কাছে নিয়ানিয়াতে একটি অভিবাসী সম্পদ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি৷

গত বছর মে মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস কেনিয়ার সাথে এমনই একটি সহযোগিতা ঘোষণা করেন, যা এই দেশ থেকে দক্ষ কর্মীদের জার্মানি আসতে আকৃষ্ট করবে৷

মরক্কো, নাইজেরিয়া, কেনিয়াসহ এমন অভিবাসন বিষয়ক সহযোগিতার চুক্তি করেছে কলম্বিয়া, ভারত, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, জর্জিয়া ও মলডোভার সাথেও৷

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্তরে এই ধরনের সহযোগিতা গত ১৫ বছর ধরে চলে আসছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, এমন ৫০টি সহযোগিতা চুক্তি ইতিমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে৷

কেমন এই সহযোগিতা?

জার্মানির অভিবাসন চুক্তি বিষয়ক বিশেষ কমিশনার ইওয়াখিম স্টাম্পের মতে, ‘‘একটি সার্বিক চিন্তার অংশমাত্র এই অভিবাসন সহযোগিতা চুক্তিগুলি৷ এর ফলে, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ও বৈধপথে অভিবাসন আরো সুনিশ্চিত হবে৷''

শুধু অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ঠেকানোই নয়, এই ধরনের উদ্যোগের লক্ষ্য সেই অব্যবস্থাকে বৈধ অভিবাসন দিয়ে পূরণ করা৷

বার্লিনের জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের বিশেষজ্ঞ স্টেফান আনগেনেন্ডট এই ধরনের উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য হিসাবে দেখেন৷

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এর আগে এমন চুক্তি সাধারণত অকার্যকর ছিল৷ কারণ ২০০৭ থেকে ইইউ এর সকল অভিবাসন সম্পর্কিত প্রকল্প বন্ধ ছিল ও এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন কমানো৷''

চুক্তিতে স্বাক্ষর করা রাষ্ট্রদের উদ্দেশ্য এতে করে উপেক্ষিত হচ্ছিল বলে জানান আনগেনেন্ডট৷

জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীরা পালাচ্ছে যুদ্ধ থেকে

কাছ থেকে দেখলে বোঝা যাবে যে এই ধরনের অভিবাসন সহযোগিতাগুলি আসলে অভিবাসীদের যাতায়াত কমানোর জন্য তৈরি৷ জার্মানিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশিরভাগই এমন দেশ থেকে আসে যেখানে হয় যুদ্ধ চলছে বা ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷

অভিবাসন নিয়ে তথ্যচিত্র- ভূ'মৃত্যু'সাগরের ওপারে

একটি বিবৃতিতে স্টাম্প বলেন, ‘‘সিরিয়া বা আফগানিস্তানের মতো দেশের সাথে এমন সহযোগিতায় যেতে পারব না আমরা৷'' বরং তার চেয়ে এই দেশগুলির পার্শ্ববর্তী দেশগুলিকে শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে পারবে জার্মানি৷

ইটালি আলবেনিয়ার সাথে যে চুক্তি

আলবেনিয়ার সাথে এই বিষয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে গেছে ইটালি৷ অভিবাসন সহযোগিতা হিসাবে এটিকে মাঝেমাঝে দেখা হলেও আসলে তা সব শর্ত পূরণ করেনা৷

চুক্তি অনুযায়ী, আলবেনিয়া এই বছরে দুটি এমন কেন্দ্র চালু করবে যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন সমন্বিত হবে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে৷

জার্মান মন্ত্রী নাইজেরিয়ার শরণার্থী ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র উদ্বোধনের সময়ে বলেন, ‘‘অভিবাসন জীবনের সত্য৷ আমাদের এই বিষয়টি এমনভাবে সামলাতে হবে যা সবার জন্য উপযোগী: অভিবাসী, অভিবাসীদের উৎস রাষ্ট্র ও যে সমাজে তারা এসে পৌঁছায়, সবাই৷''

আস্ট্রিড প্রাঙ্গে দে ওলিভেরা/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান