জার্মানি অভিবাসনের দেশ
২৪ জানুয়ারি ২০১৫জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের বুধবার রিপোর্টটি পেশ করেন: ২০১৩ সালের অভিবাসন রিপোর্ট৷ ফেডারাল পরিসংখ্যান দপ্তরের নথিপত্র অনুযায়ী এই রিপোর্ট৷ ২০১৪ সালে ২০১৩'র সব প্রবণতা বজায় আছে এবং অংশত বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এই পরিসংখ্যানের স্থান হবে ২০১৪ সালের অভিবাসন রিপোর্টে৷ আপাতত এ টুকু বলা যেতে পারে যে, ২০১৪ সালে জার্মানিতে মোট অভিবাসন ঘটেছে চার লাখ সত্তর হাজার ব্যক্তির৷ ২০১৩'য় এক লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন – ২০১৪'য় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দু'লাখে; এদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ সিরিয়া থেকে আগত শরণার্থী৷
জার্মানিতে গত বিশ বছরে ধরে এই পরিমাণ অভিবাসী আসেননি৷ ২০১২'য় যেখানে দশ লাখ আশি হাজার বহিরাগত জার্মানিতে আসেন, ২০১৩'য় তাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল বারো লাখ ত্রিশ হাজারে৷ ২০১৩'য় আট লাখ বহিরাগত জার্মানি পরিত্যাগও করেন বটে৷ নয়তো ২০১৩'র নতুন অভিবাসীদের তিন-চতুর্থাংশ এসেছিলেন অপরাপর ইউরোপীয় দেশ থেকে, সংখ্যার বিচারে পর্যায়ক্রমে পোল্যান্ড, রোমানিয়া, ইটালি, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, স্পেন এবং গ্রিস থেকে৷
বলতে কি, ২০১৩ সালে যে আট লাখ মানুষ জার্মানি পরিত্যাগ করেছেন, তাদের অধিকাংশ ফেরৎ গেছেন পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়ায়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে, প্রতি বছর যে বহিরাগতরা জার্মানিতে আসেন, তাদের ৫০ শতাংশ এক বছরের মধ্যেই আবার জার্মানি পরিত্যাগ করেন৷ সেই সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে: বেশ কয়েক বছর ধরে যতো তুর্কি জার্মানিতে আসছেন, তার চেয়ে বেশি সংখ্যক তুর্কি জার্মানি ছেড়ে তুরস্কে প্রত্যাবর্তন করছেন৷ অপরদিকে এ কথাও সত্যি যে, বর্তমানে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ মুসলিম৷
এসি/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)