অভ্যুত্থান বিরোধীদের গ্রাম পোড়াচ্ছে মিয়ানমার
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থান হয়েছে৷ যারা এর বিরোধিতা করছে তাদের এলাকা পুড়িয়ে দিচ্ছে সামরিক বাহিনী৷
একশোর বেশি গ্রামে আগুন
অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘ডাটা ফর মিয়ানমার’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একশোর বেশি গ্রাম পুরোপুরি বা আংশিক পুড়িয়ে দিয়েছে৷ গতবছরের অভ্যুত্থানের বিরোধীদের দমাতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বেসামরিক ভবন পোড়ানো হয়েছে৷
ছবি কথা বলে
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-ইমেজিং কোম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবস ও নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে গ্রাম পোড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে৷ এসব গ্রামে প্রধানত বৌদ্ধরা থাকতেন৷
কেন সাগাইং
কারণ প্রায় এক বছর ধরে ঐ এলাকায় মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ পিডিএফ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর লড়াই চলছে৷ পিডিএফ হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর সাবেক সাংসদদের নিয়ে গড়া মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ এনইউজির সশস্ত্র শাখা৷ মিয়ানমারের সামরিক সরকার এনইউজি ও পিডিএফকে অবৈধ ঘোষণা করেছে৷ এবং তাদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছে৷
পলায়ন
সামরিক বাহিনীর হামলা ও আগুনের কারণে গ্রামবাসীরা অন্যত্র পালিয়ে গেছেন৷ জাতিসংঘ বলছে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন৷
পুড়ে যাওয়া বিন গ্রাম
৭ ফেব্রুয়ারির এই স্যাটেলাইট ইমেজে সাগাইং এলাকার বিন গ্রামের কিছু অংশ পোড়া দেখা যাচ্ছে৷ সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, ৩১ জানুয়ারি তাদের গ্রামে আগুন দেয়া হয়৷ প্রায় একশোর মতো বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ তবে কেউ মারা যায়নি বা কাউকে হত্যা করা হয়নি৷
আগের ছবি
বিন গ্রামটি দেখতে এরকম ছিল৷ গতবছর ২৭ নভেম্বর তোলা ছবি৷
পুরনো কৌশল
বিরোধীদের দমাতে গ্রামে আগুন দেয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি পুরনো কৌশল বলে কয়েকজন বিশ্লেষক রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গ্রামেও আগুন দিয়েছিল তারা৷