1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবরি মসজিদ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৬ ডিসেম্বর ২০১২

বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল মৌলবাদী হিন্দুরা আজ থেকে ২০ বছর আগে, ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর৷ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের চূড়ান্ত সমাধান না হলেও এর প্রাসঙ্গিকতা ধীরে ধীরে অনেক ক্ষীণ হয়ে আসছে সময়ের ব্যবধানে৷

https://p.dw.com/p/16wVK
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ভাঙার পর, ধর্মীয় আবেগের আগুনে পুড়েছিল গোটা দেশ৷ এতবড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেশভাগের পর উপমহাদেশে আর হয়নি৷ ধুলোয় মিশে গিয়েছিল গণতান্ত্রিক ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার অহঙ্কার৷ অযোধ্যায় রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের সন্তোষজনক সমাধান আজও হয়নি৷ উভয় সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান দিতে পারেনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ

ঐ রায়ে বিতর্কিত জমির ২/৩ ভাগ দেয়া হয় হিন্দু সম্প্রদায়কে যাঁদের ধর্মবিশ্বাস, ঐ স্থানেই জন্মেছিলেন হিন্দুদের আরাধ্য দেবতা শ্রীরাম৷ মুসলিম সম্প্রদায় পায় ১/৩ ভাগ৷ বাদবাকি জমি সরকারের৷ পাছে এই রায় নিয়ে আবার কোনো ধর্মীয় সংঘাত দেখা না দেয়, তার জন্য বিতর্কিত এলাকায় রয়েছে কড়া সশস্ত্র পাহারা৷ এখনও বিষয়টি শীর্ষ আদালতে ঝুলে আছে৷

Bildergalerie 20 Jahre nach dem Herabreißen der Babri-Moschee
১৯৯২ সালের ২৫ জুলাই তোলা বাবরি মসজিদের ছবিছবি: AFP/Getty Images

কী হয়েছিল সেদিন? ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর৷ তৎকালীন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা শহরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলির করসেবকরা (স্বেচ্ছাসেবক ) মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয৷ তাতে সামিল হয়েছিলেন এল.কে আডবানিসহ বিজেপি'র নেতা কর্মীরা৷ এই ধ্বংসযজ্ঞে অবশ্য বিজেপি'র রাজনৈতিক ফায়দা হয়৷ তারা ক্ষমতায় আসে ১৯৯৮ সালে৷

কিন্ত কেন? হিন্দুদের বিশ্বাস প্রায় ৫০০ বছর আগে রাম জন্মস্থানে রাম মন্দির ভেঙে সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ৷ তৈরি করেছিল মোগল বাদশা বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে৷ প্রত্নতাত্বিকরা মসজিদের নীচে মন্দিরের কিছু নিদর্শন পেয়েছিল, এমনটাই দাবি৷

এখন কেমন আছে অযোধ্যা? ২০ বছর পর আজ আর অযোধ্যার সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের কাছে এর প্রাসঙ্গিকতা তেমন নেই৷ ধর্মের জিগির তুলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ শহরে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল৷ অন্তত রুজি রোজগারের তাগিদে৷ অশান্তির আগুন জ্বললে এই তীর্থভূমিতে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের আসা বন্ধ হবে৷ এটা স্থানীয় মানুষ বুঝেছে৷ তবে ভয় তাঁদের রাজনৈতিক কারবারিদের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য