অরুণাচল থেকে পাঁচজনকে অপহরণের অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে
৭ সেপ্টেম্বর ২০২০প্রথম অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা নিনং এরিং। অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবনসিরির নাচো থেকে পাঁচজন যুবককে অপহরণ করেছে চীনের সেনাবাহিনী। তারপর অপহৃত এক যুবকের পরিবার অভিযোগ করে, ওই যুবক সেনাবাহিনীর পোর্টার হিসাবে কাজ করতেন। পাঁচ যুবক শিকারে গেছিলেন। তখন তাঁদের চীনা সেনা অপহরণ করে বলে অভিযোগ।
এই নিয়ে দেশজুড়ে হইচই শুরু হওয়ার পর অরুণাচল থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার তরফে চীনের পিপলস আর্মির কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। হটলাইনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চীনা সেনার জবাবের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগেও আপার সুবনসিরিতে একাধিকবার চীনা সেনা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন হলো, পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করে নেয়ার খবর কেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই? গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তাঁদের এলাকা এখনো অত্যন্ত দুর্গম। সরকার এখানে রাস্তা বানাবার এবং অন্য পরিকাঠামো তৈরির কথা বললেও এখনো কিছুই হয়নি। থানাতে যেতেই একদিন সময় লেগে যায়। তাই তাঁরা সচরাচর থানায় যান না। তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল কিছুই নেই। এত দুর্গম জায়গা বলেই এখান থেকে খবর আসতে দেরি হয়। বারবার বলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
অন্যদিকে রাশিয়ায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন(এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে গেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। এসসিও-র আলোচনার বাইরে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়। লাদাখ সংঘর্ষের পর এই প্রথম। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ওপর জোর দেয়া হয়। এসসিও-তে এ বার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকও হতে পারে।
বৈঠক শেষ হওয়ার পরই চীনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, লাদাখের সংঘর্ষের জন্য ভারত পুরোপুরি দায়ী। চীন তাদের দেশের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। এরপর ভারতের তরফ থেকেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রচুর সেনা সমাবেশ করেছে। তারা স্থিতাবস্থা বদল করতে চায়। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ভাঙছে চীন। ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখবেই।
ফলে বোঝা যাচ্ছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হলেও উত্তেজনা কমেনি। দুই দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড়। এর মধ্যে অরুণাচলে পাঁচ ভারতীয়ের অপহরণ উত্তেজনা আরো বাড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
জিএইচ/এসজি(এেনআই, পিটিআই)