অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি
২৯ জুন ২০২০সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর শুরু হয় উদ্ধারকার্য৷ ডুবুরি দলের তৎপরতায় চলছে কাজ৷
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা ইসলাম জানান, নিহতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, ৮ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে৷
মর্নিং বার্ড নামের সেই লঞ্চে ছিলেন অর্ধশতাধিক যাত্রী৷ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সাথে উদ্ধারকার্যে রয়েছেন নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরাও৷
বিআইডব্লিউটিএ'র পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম জানান, মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল এই লঞ্চটি৷
সেই সময়, চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি মাঝনদীতে ডুবে যায়৷
মর্নিং বার্ডের যাত্রীদের কয়েকজন সাঁতরে তীরে পৌঁছতে পরলেও অনেকে ভেতরে আটকা পড়ে যান৷ ঠিক কতজন এখনও নিখোঁজ, তা স্পষ্ট নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী-২ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লালকুঠীতে যাত্রী নামিয়ে সদরঘাটের চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করার জন্য ঘুরছিল। ওই সময় পেছনে থাকা মর্নিং বার্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
দুর্ঘটনার পর, ঘাটে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়৷ নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে সেখানে আসেন তাদের পরিবার-স্বজনরাও৷
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা যেসব লাশ উদ্ধার করেছেন, তাদের মধ্যে যমুনা ব্যাংকের ইসলামপুর শাখার কর্মচারী সুমন তালুকদারকে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই নয়ন তালুকদার। তিনি জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কাছাকাছি এলাকায় নদীর মাঝখানে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়েছে। ভেতরে আর কারও লাশ আছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখা হবে।
তল্লাশি শেষ হলে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী নৌযান ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে তুলে সরিয়ে নেবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সাংবাদিকদের বলেন, দুই লঞ্চের কর্মীদের অসতর্কতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছেন। উদ্ধার অভিযান শেষে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হবে।
এসএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ, এএফপি)