‘স্যালুট’ ছবির মহরত
১২ জুলাই ২০১২মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২০০ মিটার দৌড়ে ইতিহাস গড়েছিলেন টমি স্মিথ৷ তবে তার চেয়েও বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি ১৯৬৮ সালের অলিম্পিক আসরে পদক বিতরণ পর্বের মঞ্চে উঠে কালো দস্তানা পরে মুষ্টিবদ্ধ স্যালুট দিয়ে৷ সেই কাজে তাঁর সাথে ছিলেন কালো অ্যামেরিকান দৌড়বিদ জন কার্লোস এবং অস্ট্রেলিয়ান পিটার নরম্যান পরেছিলেন একটি মানবাধিকারের ব্যাজ৷ মেক্সিকো সিটির সেই পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে এই দুই জনের মুষ্টিবদ্ধ কালো হাত মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে এই ঘটনায় গোটা বিশ্ব যেন বৈদ্যুতিক আঘাত খাওয়ার মতো চমকে গিয়েছিল৷
সেই তিন নায়ক তাঁদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞামূলক বিবৃতির জন্য হেনস্তার শিকার হন৷ অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের চাপে স্মিথ এবং কার্লোসকে খেলার আসর থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ নিজেদের দেশেও তারা পরিত্যাজ্য হয়েছিলেন৷ হয়েছিলেন বঞ্চনা ও ভর্ৎসনার শিকার৷ এমনকি তাঁদেরকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়৷ রৌপ্য পদক বিজয়ী নরম্যানকে তাঁর দেশের ক্রীড়া জগত একঘরে করে দেয়৷ ২০০৬ সালে মারা যান নরম্যান৷ স্মিথের প্রতিভা ও নৈপুণ্য প্রকাশের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়৷ শেষ পর্যন্ত তিনি এনএফএল-এ খেলা শুরু করেন৷
এসব ঘটনার পটভূমি নিয়ে ২০০৮ সালে একটি ছবি তৈরি করা হয়৷ নাম দেওয়া হয় ‘স্যালুট'৷ ছবিটির কাহিনি লিখেন, ছবি পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেন প্রয়াত নরম্যানের ভাগ্নে ম্যাট নরম্যান৷
প্রায় চার দশক পর এবারের অলিম্পিক আসরের প্রাক্কালে লন্ডন গেছেন স্মিথ৷ সেখানে তাঁদের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবির মহরত প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন স্মিথ৷ লন্ডনের অনুষ্ঠানে স্মিথ বলেন, ২০০ মিটার দৌড়ে বর্তমান বিশ্ব সেরা জ্যামাইকান তারকা উসেন বোল্ট ১৯ সেকেন্ডের সীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন৷ বোল্ট ২০০৯ সালে বার্লিনে ১৯.১৯ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন৷
এএইচ / জেডএইচ (এপি)