অল্প বয়সে তারকা, অল্প বয়সেই ‘খারাপ’?
প্রতিভা এবং প্রতিভা বিকাশের অদম্য চেষ্টা ছিল৷ তাই অল্প বয়সেই তাঁরা তারকা৷ তারকাখ্যাতি জুটেছে, সঙ্গে খ্যাতির বিড়ম্বনাও...৷ বিশ্ব জুড়ে অগুনতি ভক্ত তাঁদের৷ সমালোচকও অনেক৷ তাদের মতে, এই তারকাদের অনেক কিছুই অনুকরণীয় নয়৷
প্রতিবেশীদের অপছন্দের মানুষ জাস্টিন বিবার
জাস্টিন বিবারকে পরিচয় করাতে যাওয়াটা বোকামি৷ সবাই জানেন, ২০০৭ সালে ইউটিউব ভিডিও-র মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করার সময় সংগীত শিল্পী বিবারের বয়স ছিল ১৩ বছর৷ দু’বছর পরই তারকা৷ ক্যানাডার নাগরিক জাস্টিন ড্রিউ বিবার এখন তারকাদেরও তারকা৷ তবে তরুণীদের হার্টথ্রব হলেও প্রতিবেশীদের কাছে বিবার বেশ অপ্রিয়৷ নেশা করে বাড়িতে হৈ-হুল্লোড় করার অভিযোগ এখন যদিও কম ওঠে, ঝড়ো গতিতে গাড়ি চালানোর বদঅভ্যেসটা এখনো যায়নি৷
মাইলি সাইরাস গান গান, গাঁজাও ‘খান’
যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাসও ছোটবেলা থেকেই তারকাজগতের বাসিন্দা৷ ডিজনি চ্যানেলের ‘হানা মনটানা’ সিরিজে সুযোগ পেয়ে যান মাত্র ১৪ বছর বয়সে৷ বাবা বিলি রে কান্ট্রি সিঙ্গার৷ তাঁর প্রেরণায় মেয়েও গান শিখেছেন৷ সেই সুবাদে মাইলি এখন পপ সুপারস্টার৷ নন্দিত সুপারস্টারের একটাই দুর্নাম – তিনি গান গান, গাঁজাও ‘খান’! নেদারল্যান্ডসসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশে গাঁজা অবশ্য এখন ‘নিষিদ্ধ’ তালিকায় নেই৷
মাইকেল জ্যাকসনের একটি কলঙ্ক
পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনেরও খ্যাতির পাশে দুর্নাম ছিল৷ একটা কালো অধ্যায়ের কথা তো ভক্তরাও ভুলতে পারবেন কিনা সন্দেহ৷ শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে৷ মাত্র ১১ বছরেই টপ চার্টে নাম লেখানো জ্যাকসন মাত্র ৫০ বছর বয়সে মারা যান৷ মৃত্যুর আগে একটা সান্ত্বনা তিনি পেয়েছেন৷ শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল৷ তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
অতীত পিছনে ফেলে আসা ড্রিউ ব্যারিমোর
যুক্তরাষ্ট্রের অভিনয় জগতের বিখ্যাত ব্যারিমোর পরিবারে তাঁর জন্ম৷ ড্রিউ ব্যারিমোরকে তাই মাত্র ১১ মাস বয়সে বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখা গিয়েছিল শুনলেও কারো মনে বিস্ময় জাগে না৷ শিশুকালেই মদ, সিগারেট, গাঁজা ইত্যাদির নেশায় আসক্ত হয়েছিলেন ড্রিউ ব্যারিমোর৷ তা জেনে অনেক ভক্তই হতাশ৷ ড্রিউ ব্যারিমোর অবশ্য সেই তারকা কম বয়সে নেশার রাজ্যে গেলেও সেই অতীতকে পিছনে ফেলে যিনি খ্যাতির শিখরে উঠেছেন৷
সংশোধন কেন্দ্রে যাঁর নিত্য যাতায়াত
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অভিনেত্রী-গায়িকা লিন্ডসে লোহান৷ ‘প্যারেন্ট ট্র্যাপ’ ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করে তারকা হয়ে ওঠার সময় বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর৷ কিন্তু এক সময় অভিনয় বা সংগীতের চেয়ে মদ্যপানই হয়ে যায় বড় নেশা৷ ফলে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন – এ সবে প্রায় একাকার হয়ে যান লিন্ডসে৷ নিজেকে শোধরাতে সংশোধন কেন্দ্রেও গিয়েছেন বেশ কয়েকবার৷ কিন্তু এখনো হারানো উচ্চতায় ফিরতে পারেননি৷
‘ভুল’ করে ভুগছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স
১৯৯৯ সালে ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ এবং ২০০০ সালে ‘উপস্….আই ডিড ইট এগেইন’ অ্যালবাম দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেলেও ব্রিটনি স্পিয়ার্স কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই সুপরিচিত৷ একচ্ছত্র সুখ্যাতি তিনিও ধরে রাখতে পারেননি৷ মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে তাঁকেও সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছে৷ অতিরিক্ত নেশার কারণে দেখা দিয়েছিল মনস্তাত্বিক সমস্যা৷ এখন বেশ ভালো আছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স৷ তাই সাফল্যের পথে ফেরার চেষ্টাও চলছে৷