1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপি’র ‘অসহযোগ আন্দোলন’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা৷ বরং তারা দমনের কথা বলেছেন৷ অন্যদিকে বিএনপি টানা অবরোধ এবং হরতালের মধ্যে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর কথা বলছে৷

https://p.dw.com/p/1EbIH
Unruhen in Bangladesch 05.01.2015
ফাইল ফটোছবি: AFP/Getty Images

বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের ৩৯ দিন ছিল শুক্রবার৷ আর গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বাদে মোট ১০ দিন টানা হরতাল পালন করেছে তারা৷ রবিবার থেকে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে পারে৷
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘অবৈধ, অনির্বাচিত, দখলবাজ আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রশক্তির চূড়ান্ত অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের এই জনপদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে৷ অবৈধ সরকারের এহেন শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জনগণ অচিরেই আইন অমান্য ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে৷''
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ইদানীং আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্য জনসমাবেশে আন্দোলনকারীদের এনকাউন্টার এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করার ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বড় কর্তারাও প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করে ক্রসফায়ারে হত্যার কৃতিত্ব দাবি করে বেড়াচ্ছেন৷ এ সমস্ত বিকৃত মস্তিষ্কের নেতা-মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ পরিণতি গণকারফিউ এবং গণপিটুনিতে নির্ধারিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকাশ্য দাম্ভিক ঘোষণা আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে৷''
শনিবার ২০ দলীয় জোট সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ শুক্রবার বলেছেন, ‘‘জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সাথে সরকারের কোন আলোচনা হবেনা, তাদের দমন করা হবে৷'' তিনি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ হবে না৷ সরকার কোনো ভাবেই সন্ত্রাসীদের সাথে আলোচনায় বসবে না৷ জাতিসংঘ এসে সমঝোতা করুক, বিএনপির এমন প্রত্যাশাও পূরণ হবে না৷''
রবিবার থেকে ২০ দলীয় জোটের হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘টানা অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ পোড়ানোর পর আরও কী কঠোর কর্মসূচি দেবেন সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছে৷ বিএনপি-জামায়াত আরও বেশি করে মানুষ পোড়ানোর কর্মসূচি দিতে চান৷''
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘বাস, ট্রেন, লঞ্চে আগুন দেয়া হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের জঙ্গি আন্দোলন৷ দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিয়েছে৷''
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘‘কার সঙ্গে সংলাপ হবে? আমাদের এখন সমস্যা হল পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা৷ সেটা দূর করতে হবে৷ বিএনপি বলছে তারা পেট্রোলবোমা মারছে না৷ তাহলে তো তাদের সঙ্গে সংলাপ করে লাভ নেই৷ তারা যদি মানুষ হত্যার দায় স্বীকার করতো, তাহলে তাদের সঙ্গে সংলাপ করলে সমাধান করা যেত৷ যেহেতু দায় স্বীকার করছে না, তাই তাদের সঙ্গে সংলাপ করে মানুষ পোড়ানো বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ এই সন্ত্রাসীদেরকে আইনি ব্যবস্থা দিয়ে দমন করতে হবে৷ সেটাই করছে সরকার৷''
খাবার সরবরাহে বাধা দেয়ার অভিযোগ
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত তাঁর কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য শুক্রবার দুপুরের খাবার নিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷
বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার অভিযোগ করেন, শুক্রবার দুপুরে একটি ভ্যানে করে বাইরে থেকে দুপুরের খাবার আনা হয়৷ কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তা খাবারসহ ভ্যানটিকে ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন৷
তবে গুলশান থানা পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷
বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বুধবার থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের খাবার আনতে বাধা দেয়া হচ্ছে৷''
তবে খালেদা জিয়ার জন্য বাইরে থেকে খাবার আনায় কোন বাধা নেই৷

Unrhuhen nach Anschlag in Dhaka August 2004
হরতাল-অবরোধ - ও আগুনছবি: picture-alliance/AP Photo
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য