অস্কার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যান্য হাজার হাজার অ্যাফ্রো-অ্যামেরিকান মহিলাদের মতো ভায়োলা'র মা ও তার দিদিমা'ও শ্বেতাঙ্গ পরিবারে পরিচারিকার কাজ করেছেন, অভিনয় নয়৷ এবং অভিজ্ঞতাটা তাদের পক্ষে বিশেষ সুখকর হয়নি৷ তার প্রমাণ, ভায়োলা'র মা এখনো অবধি মেয়ের অভিনয় করা ছবিটি দেখে উঠতে পারেননি৷
এই দ্বন্দ্ব ‘‘দ্য হেল্প'' ছবিটির অস্কার পাবার সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে পারে৷ ছবিটি গত গ্রীষ্মে যে কারণে হিট হয়, ঠিক সেই কারণেই অস্কারের জুরি বর্ণবৈষম্যের সেই কষ্টদায়ক স্মৃতি পুনঃজাগরিত করার চেয়ে হয়তো ‘‘দ্য আর্টিস্ট''-এর মতো একটি সুখকর রোমান্সকেই শিরোপা দেবেন৷
‘দ্য হেল্প''-এর কাহিনির সালটা হল ১৯৬৩৷ যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের নাগরিক অধিকার আন্দোলন সবে শুরু হতে চলেছে৷ এমন সময়ে এক তরুণী শ্বেতাঙ্গ মহিলা একটি উপন্যাস লেখার উদ্দেশ্যে কৃষ্ণাঙ্গ পরিচারিকাদের শ্বেতাঙ্গ পরিবারে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন৷
৭০ বছর আগে কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হ্যাটি ম্যাকড্যানিয়েল ‘‘গন উইথ দ্য উইন্ড'' ছবিতে কিশোরী পরিচারিকার ভূমিকায় অভিনয় করে অস্কার পান৷ কিন্তু সেই ছবিতে আরো বড় এক কৃষ্ণাঙ্গ পরিচারিকার ভূমিকা ছিল: তিনি হলেন ম্যামি, তরুণী স্কারলেট'এর ধাত্রী বলা চলে যাকে৷ যে'সব কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এ'ভাবে দায়বদ্ধ হয়ে শ্বেতাঙ্গ পরিবারে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের নিয়ে একটি রোমান্টিক স্টিরিওটাইপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা নিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ইতিহাসবিদ মহলে অনেক দিন ধরেই অনুযোগ ছিল৷ ‘‘দ্য হেল্প'' এবার তা'তে আরো খোরাক যোগাচ্ছে৷
ভায়োলা ডেভিসের বক্তব্য হল: এইবিলিন ক্লার্ক'এর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি যেন তার মা, তার দিদিমা'কে সেই স্টিরিওটাইপ থেকে যাওয়ার হাত থেকেই রক্ষা করেছেন৷ কাজেই ‘‘গন উইথ দ্য উইন্ড''-এর হ্যাটি ম্যাকড্যানিয়েল এবং ‘‘মনস্টার্স বল'' ছবিতে হ্যালি বেরি'র পর ভায়োলা যদি এবার তৃতীয় কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পান, তা'হলে সব বিতর্কের অবসান ঘটবে বলেই মনে হয়৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন