সম্মুখ সমরে ভীত!
২৬ এপ্রিল ২০১৩লিঙ্গ নয়, সব কাজে যোগ্যতাই হবে নিয়োগপ্রাপ্তির একমাত্র মাপকাঠি – অন্য প্রায় সব ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এ নিয়মে চললেও সামরিক বাহিনীতে এ ব্যবস্থা ছিল না৷ গত জানুয়ারিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম করে নারীদের এগিয়ে আসার পথ করে দেয় জুলিয়া গিলার্ডের সরকার৷ আশা করা হয়েছিল, কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা ভেবে, পুরুষের সঙ্গে এমন কাজে সমানভাবে পাল্লা দিতে প্রচুর নারী এগিয়ে আসবেন৷ কিন্তু অবাক কাণ্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও তা হয়নি৷ ৮ হাজার আবেদনের মধ্যে মাত্র ২০ জনকে দেখা গেছে সম্মুখ সমরে অংশ নেয়ার সাহস দেখাতে৷
সাহসের প্রশ্নটা আসছেই, কেননা, বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শারীরিক এবং মানসিক শক্তির দাবি বেশি বলেই অস্ট্রেলিয়ার নারীরা সরকারের এ আহ্বানে এখনো তেমন সাড়া দেননি৷ কে বলবে অস্ট্রেলিয়া সেই দেশ যেখানে মূল স্রোতের আধুনিক মেয়েরা তো বটেই, এমনকি আদিবাসী মেয়েরাও সমাজকে এগিয়ে নেয়ায় ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসছেন বেশ আগে থেকেই৷ আর কিছু না হোক, ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতা ক্যাথি ফ্রিম্যানের কথা তো সবাই জানেন৷
৮ হাজার আবেদন পত্রের মধ্যে মাত্র ২০ জন নারীকে সামরিক বাহিনীর বিশেষ কিছু শাখায় আগ্রহ দেখাতে দেখেও অস্ট্রেলিয়া সরকার অবশ্য হতাশ নয়৷ পাঁচ বছরের যে পরিকল্পনার আওতায় দেশের নারীদের সামরিক বাহিনীর হয়ে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সম্মুখ সমরে অংশ নিতে এগিয়ে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটা তদারক করছেন মেজর জেনারেল জেরার্ড ফোগার্টি৷ তিনি মনে করেন, কাজ তো কেবল শুরু হলো, আরো কিছুদিন গেলে মেয়েরা নিশ্চয়ই আরো বেশি করে এগিয়ে আসবে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)