1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ত্র বিক্রির ‘দোষ ঢাকতে’ লিনিককে বরখাস্ত

১৯ মে ২০২০

সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে তদন্ত করছিলেন৷ আর তাতেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াচডগ এর ইন্সপেক্টর জেনারেল স্টিভ লিনিককে বরখাস্ত হতে হয়েছে বলে দাবি এক ডেমোক্রেটিক নেতার৷

https://p.dw.com/p/3cT7t
ছবি: Reuters/J. Ernst

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অনেকটা হুট করেই মন্ত্রণালয়ের ‘ওয়াচডগ' প্রধান লিনিককে বরখাস্ত করেন৷ তাকে বরাখাস্তের কারণ জানানো হয়নি৷ আর তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে৷

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে মোটা অংকের অস্ত্র বিক্রি করে৷ সঠিক নিয়ম মেনে ওই অস্ত্র বিক্রি হয়নি এবং লিনিক সেটা নিয়েই তদন্ত করছিলেন বলে সোমবার জানান মার্কিন কংগ্রেসের এক ডেমোক্রেট নেতা৷

এরআগে ডেমোক্রেটিক নেতারা অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে নিয়ে তদন্ত শুরুর কারণে লিনিককে বরখাস্ত হতে হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন৷

হাউজ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট অ্যাঙ্গেল বলেন, সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির ঘটনা নিয়ে শুরু হওয়া তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই লিনিককে বরখাস্ত করায় তিনি উদ্বিগ্ন৷

যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ হ্রাসে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে একটি পর্যালোচনা নীতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ ওই নীতি এড়িয়ে অস্ত্র বিক্রির জন্য পম্পেও গত বছর মে মাসে ফেডারেল আইনের এমন একটি প্রভিশন আহ্বান করেছিলেন যেটার ব্যবহার খুব বিরল৷

অ্যাঙ্গেল বলেন, ‘‘সৌদি আরবের কাছে অস্ত্রের চালান পাঠাতে ট্রাম্প নাটক সাজিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন৷ আমার অনুরোধেই লিনিকের দল অস্ত্র বিক্রির ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছিল৷

‘‘আমরা এখনো তদন্তে ওই ঘটনার সম্পূর্ণ চিত্র মেলাতে পারিনি৷ কিন্তু তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই যেভাবে মাইক পম্পেওর ইচ্ছায় লিনিককে তার জায়গা থেকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হলো সেটা সত্যিই উদ্বেগের৷’’

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ২০১৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেলের দায়িত্ব পান লিনিক৷

লিনিকের দায়িত্ব পালনের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না জানিয়ে ট্রাম্প গত শুক্রবার তাকে বরখাস্ত করেন৷ বরখাস্তাদেশে কী কারণে প্রেসিডেন্ট আর আস্থা রাখতে পারছেন না সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি৷ শুধু বলা হয়েছে, আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হবে৷

লিনিক বরখাস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পম্পেওর দিকে আঙুল তোলেন ডেমোক্রেটরা৷ সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে লিনিকের বরাখাস্তের পেছনে তার হাত থাকার কথা স্বীকার করেন পম্পেও৷ বলেন, লিনিক পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা বৈদেশিক কৌশলের ‘ক্ষতি’ করার চেষ্টা করছিলেন৷ এ কারণেই তিনি লিনিককে বরখাস্ত করার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে সুপরিশ করেছেন৷

একই দিন ট্রাম্প নিজেও পম্পেওর সুপারিশে লিনিককে বরখাস্ত করেছেন বলে ‍জানান৷ হোয়াইট হাউজে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাউকে বরখাস্তের সম্পূর্ণ অধিকার আমার আছে৷ আমি বলেছি, কে তাকে নিয়োগ দিয়েছে? উত্তরে তারা বলেছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ আমি বলেছি, দেখো আমি তাকে বরখাস্ত করবো৷’’

এসএনএল/কেএম (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

গত সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...