অস্থির তিউনিসিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ
১৬ জানুয়ারি ২০১১কী বললেন নতুন প্রেসিডেন্ট
বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটি ঐকমত্যের সরকার গঠনের অঙ্গীকার করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট৷ এবং এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গানুচিকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, তিউনিসিয়ার সব নাগরিকের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে৷ তাঁর এই মন্তব্য পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বেন আলির মনোভাবের চেয়ে ব্যতিক্রম৷ কারণ বেন আলি মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশটির প্রধান ইসলামি দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন৷ এদিকে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আজ একটি বৈঠক হবে৷ আর সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে৷
রাজধানীর সর্বশেষ পরিস্থিতি
শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাজধানীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ ফলে রাস্তায় রাস্তায় এখন ট্যাঙ্ক দেখা যাচ্ছে৷ আর শুক্রবার থেকে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে৷ কিন্তু এর মধ্যেও থেমে নেই অরাজকতা৷ দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে৷ এছাড়া বেন আলি পালিয়ে যাওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে৷
বেন আলির প্রতি ক্ষোভ কেন?
এর উত্তর জানতে হলে আগে জানতে হবে কেন এই বিক্ষোভ৷ ঘটনার সূত্রপাত গতমাসে৷ যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হওয়া এক ছাত্র চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করে৷ এর মানে বোঝা যাচ্ছে দেশটিতে বেকারত্ব একটা বেশ বড় সমস্যা৷ কিন্তু এরই মধ্যে বেন আলি ও তাঁর কাছের লোকজন বিলাসী জীবনযাপন করে যাচ্ছিলেন৷ কারণ গত ২৩ বছর ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট থাকার কারণে দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁরা অনেক অর্থের মালিক হয়েছেন৷ যেটা সাধারণ জনগণের কাছে পছন্দ হয়নি৷
বাইরের বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমা বিশ্ব বেশ ভালভাবেই সমর্থন জানিয়েছে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভকে৷ তারা মনে করছে এর ফলে তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র ফিরে আসবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মনে করছেন এর ফলে দেশটিতে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে৷ তবে আরব বিশ্ব কিছুটা সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে৷ কারণ সুদানের পর তিউনিসিয়ায়ই হলো একমাত্র দেশ যেখানে বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারের পতন হলো৷ এবং যে কারণে হলো, সেই একই অবস্থা আরব বিশ্বের অনেক দেশেই বিরাজ করছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম