অ্যাটলান্টিসের গাঁটছড়া পড়ল আইএসএস’এর সঙ্গে
১১ জুলাই ২০১১সেটা বোঝাতে গেলে স্মরণ করতে হয় মহাকাশ ফেরির কাজটা৷ যে কোনো ফেরির যা কাজ: মানুষ আর জিনিষপত্র বহন করা৷ শাটলরাও তাই করেছে৷ অ্যাটলান্টিসও শেষবারের মতো তাই করছে৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস'এ মালপত্র পৌঁছে দিচ্ছে৷ ফেরিতে রয়েছেন চারজন নভশ্চর৷ কমান্ডার ক্রিস ফার্গুসন অতি সন্তর্পণে অ্যাটলান্টিসকে আইএসএস'এর হার্মনি নোডের পার্কিং স্লিপে ঢুকিয়েছেন৷ হ্যাচ খুলে নভশ্চররা আইএসএস'এ প্রবেশ করেছেন৷
এখন প্রশ্ন হল, ৩০ বছর ধরে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচে এমন সার্ভিস দেবার পর স্পেস শাটলদের হঠাৎ বিদায় নিতে হচ্ছে কেন৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এর পরে নাকি এক নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরী হবে যেগুলো নভশ্চরদের প্রথমে ধূমকেতুর ওপরে এবং কালে মঙ্গলগ্রহে নিয়ে যেতে পারবে৷ শাটল কর্মসূচির শেষ এবং ১৩৫তম যাত্রায় অ্যাটলান্টিস বহন করছে পাঁচ টন খাবারদাবার, জামাকাপড়, স্পেয়ার পার্টস, বিজ্ঞানের সরঞ্জাম ইত্যাদি - ঐ ফেরিরা যেমন করে থাকে৷
কিন্তু ব্যাপারটা হল, ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে৷ কাজেই আইএসএস'এ মাল পাঠানোর দায়িত্ব নেবে এবার নাসা'র পরিবর্তে স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস ও অর্বিটাল সায়েন্সেস কর্পোরেশন, এই দু'টি বেসরকারি কোম্পানি৷ তারা নাকি আগামী বছরেই নাসা'র হয়ে মাল ফেরি করতে শুরু করবে৷ আর লোক পাঠানোর জন্য রয়েছে রাশিয়া ও তার সোয়ুজ রকেট৷ যদিও এক্ষেত্রেও বোয়িং ও অপরাপর মার্কিন কোম্পানি একটি স্পেস ট্যাক্সি সৃষ্টির কাজে সরকারি বিনিয়োগ পাচ্ছে৷ এবং সে ট্যাক্সিরও ২০১৫ সালের মধ্যে তৈরী হয়ে যাওয়ার কথা৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়