বাংলাদেশেও জনপ্রিয় অ্যানিমেশন
২ আগস্ট ২০১৪মীনা কার্টুন সিরিজের পরিচালক ছিলেন রাম মোহন৷ ভারতের অ্যানিমেশন জগতের ‘জনক' হিসেবে পরিচিত এই কার্টুনিস্টের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যানিমেটর এহসান-উর-রশীদ৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান বাংলাদেশের অ্যানিমেশন জগতের বর্তমান অবস্থার কথা৷
টুডি এবং থ্রিডি অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে এখন অনেকটাই এগিয়ে গেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এখন কম্পিউটার গেম তৈরিতে খরচ করা হচ্ছে শত শত মিলিয়ন ইউএস ডলার৷ এমনকি বড় নির্মাণ প্রকল্প আগে কম্পিউটারে থ্রিডি মডেল হিসেবে গড়ে নেয়া হচ্ছে যেন সেটি নিয়ে আগেই আলোচনা, সমালোচনা করা যায়৷
এহসান জানান বাংলাদেশেও অ্যানিমেশন জগত এগিয়ে যাচ্ছে৷ সিডি তৈরি হচ্ছে, বিজ্ঞাপনে অ্যানিমেশন ব্যবহার হচ্ছে৷ আর ডেভেলপাররা প্রকল্পের ভার্চুয়াল মডেল তৈরি করছেন আগে৷ তবে পাশ্চাত্যের মতো ততটা আগায়নি বলেই মনে করেন তিনি৷ এহসান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের এখন বিশ্বের কাছে অ্যানিমেশন শিল্পকে উপস্থাপন করার সময় এসেছে৷''
অ্যানিমেটরদের দক্ষতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে অ্যানিমেটররা প্রশিক্ষিত৷ তারা ভালো সুযোগ পেলে, আমাদের দেশের এই শিল্পকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে৷''
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে কম্পিউটার গেমের চাহিদা বাড়ছে৷ সঙ্গে বাড়ছে গেম ডিজাইনারদের চাহিদা৷ জার্মানিতে চল্লিশটির বেশি সরকারি এবং বেসরকারি ইন্সটিটিউটে বর্তমানে এই বিষয়ে ডিগ্রি গ্রহণ এবং গবেষণার সুযোগ রয়েছে৷
বাংলাদেশেও অ্যানিমেশন শেখার ব্যবস্থা রয়েছে৷ এহসান জানান, টুডি অ্যানিমেশনে ক্যারিয়ার গড়ার আগে তিনি কমিকস বুক তৈরি করেছেন৷ আর এই কাজ তাঁকে অ্যানিমেশন শিখতে অনেক সহায়তা করেছে৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অ্যানিমেটরদের চাহিদা অনেক৷ একেকজন অ্যানিমেটর গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা বেতন পান৷''
এহসান মনে করেন, অ্যানিমেশন খাতকে এগিয়ে নিতে গেলে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায় থেকে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷ উদ্যোক্তাদের অ্যানিমেটরদের পাশে থাকতে হবে৷ আর ভালো গল্প বেছে নিতে হবে যা দর্শকরা সহজে বুঝতে পারে৷ এভাবেই উন্নতি সম্ভব৷