1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামনেস্টি যৌনকর্মী ও দালালদের বৈধ করতে চায়

১২ আগস্ট ২০১৫

এমনকি বেশ্যালয়ের মালিকানাকে বৈধ করার সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যদিও এর ফলে মানবাধিকার সংস্থাটিকে বিপুল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1GDoM
Thailand Rotlichtviertel in Pattaya
ছবি: picture-alliance/Landov/M. Ryba

যৌন ব্যবসাকে পুরোপুরি ‘ডিক্রিমিনালাইজ' করা, অর্থাৎ অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার সপক্ষে অ্যামনেস্টি৷ মঙ্গলবার ডাবলিনের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল মিটিং-এ ৭০টি দেশ থেকে আগত ৪০০ প্রতিনিধির এক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দৃশ্যত প্রস্তাবটি সমর্থন করেন, যদিও ভোটাভুটির কোনো খুঁটিনাটি দেওয়া হয়নি৷

অ্যামনেস্টি বিভিন্ন যৌনকর্মী সংগঠন ও গোষ্ঠী, এইচআইভি/এইডস ত্রাণকর্মী এবং মানুষ পাচার বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে দু'বছর ধরে কথাবার্তা বলার পর এই সিদ্ধান্তে আসে যে, যৌনকর্মীদের মানবাধিকার রক্ষার শ্রেষ্ঠ পন্থা হলো দালালি ও বেশ্যালয়ের মালিকানা সহ সব ধরনের যৌন পরিষেবাকে বৈধ ঘোষণা করা৷ এর ফলে যৌনকর্মীদের মারধোর, যৌন নির্যাতন, অকারণে গ্রেপ্তার, ব্ল্যাকমেল, নারী পাচার ও জোর করে এইডস পরীক্ষার ঘটনা কমবে, বলে অ্যামনেস্টির ধারণা৷ কাজেই মঙ্গলবার অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেট্টি একটি ‘‘ঐতিহাসিক দিনের'' কথা বলেন৷

Japan Sexindustrie in Tokio
টোকিওর যৌন এলাকায়...ছবি: picture-alliance/dpa

তবে ডাবলিনের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার আগে থেকেই অ্যামনেস্টির অভিপ্রায় জ্ঞাত ছিল এবং অপরাপর বহু নারী অধিকার গোষ্ঠী সমালেচনায় মুখর হয়ে উঠেছিল৷ যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘কোয়েলিশন এগেইনস্ট ট্র্যাফিকিং ইন উইমেন' বা নারী পাচার বিরোধী জোটের কার্যনির্বাহী পরিচালক তাইনা বিয়্যাঁ-এইম-এর মতে যৌনকর্ম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ অপরাধের তালিকা থেকে অপসারণ করার অর্থ, দালালদের ‘‘বিজনেসমেন''-এ পরিণত করা, যা-তে তারা নির্বিচারে অসহায়দের ‘‘বেচতে'' পারে৷

ডাবলিনের ভোটের আগেই নারী পাচার বিরোধী জোট একটি খোলাচিঠিতে সাবধান করে দিয়েছিল যে, এর ফলে অ্যামনেস্টির ভাবমূর্তি ‘‘বিশেষভাবে মলিন'' হবে৷ সিএটিডাব্লিউ-এর অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার স্বাক্ষর পড়েছে৷ যারা স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ, কেট উইন্সলেট এবং এমা থমসন-এর মতো হলিউড তারকা৷

Indien Prostitution Gesetz
ভারতে পতিতাদের বিক্ষোভ...ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

নারী অধিকার গোষ্ঠী ‘ইকোয়ালিটি নাউ'-এর নারী পাচার বিরোধী কর্মসূচির পরিচালক এশোহে আঘাটিসে বলেছেন: ‘‘বাণিজ্যিক যৌনসম্ভোগের চাহিদা বাড়ার ফলেই নারী পাচার বাড়ে৷ তখন হঠাৎ নীতি বদলে বলতে পারো না যে, যারা সেই চাহিদা বাড়াচ্ছে, চলো তাদেরই সুরক্ষা দেওয়া যাক৷'' তাইনা বিয়্যাঁ-এইম-ও বলেছিলেন: শোষিতদের রক্ষা করার জন্য শোষণকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না৷ অপরদিকে অ্যামনেস্টি বলছে, ‘ফোর্সড লেবার' বা বেগার খাটানো কিংবা যৌন শোষণের জন্য নারী পাচার ইত্যাদি ব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি৷

বিষয়টি এমনই বিতর্কিত যে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আইনকানুন চালু রয়েছে৷ আইসল্যান্ড, সুইডেন এবং নরওয়েতে যৌনকর্মীদের পরিবর্তে তাদের গ্রাহকদেরই অপরাধী হিসেবে দেখা হয় – সম্প্রতি ফ্রান্সও যে পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে৷ ইউরোপের বহু দেশে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ৷ অপরদিকে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড এবং আরো কয়েকটি দেশে তা সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য