অ্যামেরিকাকে হুমকি উত্তর কোরিয়ার
১৪ জানুয়ারি ২০২২সম্প্রতি সমুদ্রে মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। কিম জং উন পরে জানান, হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে। ওই পরীক্ষার পরেই উত্তর কোরিয়ায় ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যামেরিকা। উত্তর কোরিয়ার উপর একাধিক মার্কিন এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা তার উপর যুক্ত হলো।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে এবার মুখ খুলল পিয়ংইয়ং। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ বিনা কারণে অ্যামেরিকা নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি ছাপা হয়েছে। সেখানে কার্যত অ্যামেরিকাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অ্যামেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞার সামনে মাথা নত করবে না পিয়ংইয়ং। আত্মরক্ষার্থে নতুন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হবে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নতুন মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়নি। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার এবং সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। এরপরেই অ্যামেরিকাকে এক হাত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকা বরাবরের মতো দাদাগিরি চালানোর চেষ্টা করছে। উত্তর কোরিয়া তাতে ভয় পায় না।
অ্যামেরিকার বক্তব্য
একটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি এদিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একের পর এক অস্ত্রের পরীক্ষা করে শক্তিসাম্য নষ্ট করছে। ইচ্ছে করেই তারা এ কাজ করছে। ভবিষ্যতেও উত্তর কোরিয়া এভাবে আরো অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ দিন ব্লিংকেন বলেছেন, অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া যদি আলোচনার টেবিলে চায়, অ্যামেরিকা তাকে স্বাগত জানাবে।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)