অ্যামেরিকার মানুষ নন, ট্রাম্প নিপাত যাক: খামেনেই
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯দেশটিতে ইসলামী অভ্যুত্থানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের খামেনেই বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র অশুভ আত্মা দ্বারা পরিচালিত৷ আর ওরা প্রশ্ন করে, আমরা কেন বলি ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাক'৷ যতদিন তারা তাদের ধূর্ত কাজকর্ম চালিয়ে যাবে, ততদিন আমরা এই শ্লোগান বাতিল করবো না৷''
এরপর খামেনেই শ্লোগানটির ব্যাখ্যা দেন৷ বলেন, ‘‘এই শ্লোগানের অর্থ কিছু মানুষ, যারা দেশ চালান, তারা নিপাত যাক৷ ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাক' মানে (প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্প, (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) জন বল্টন আর (স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক) পম্পেও নিপাত যাক৷ অর্থাৎ অ্যামেরিকার শাসকদের মৃত্যু হোক৷''
৭৯ বছর বয়সি খামেনেই বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ধূর্ত শত্রু৷ তারা জিওনিস্ট (ইসরাইল) ও আরবের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকদের (সৌদি আরব ও আরব উপসাগরীয় অঞ্চল) সঙ্গে যুক্ত৷
‘‘ইয়েমেন একটি উদাহরণ৷ সৌদি আরব সেখানে ক্রমাগত অপরাধ করে চলেছে৷ তাদের এই অপরাধের সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র,'' বলেন তিনি৷ ‘‘তারা হাসপাতাল, বাজার ও জনসমাগমে হামলা করে৷ তারা অপরাধী৷ এটাই যুক্তরাষ্ট্রের চেহারা৷''
সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুণরায় আরোপ করেছে৷
তাঁর সাম্প্রতিক স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণেও ইরান প্রসঙ্গ ছিল৷ ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমার প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েই সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ইরানের মৌলবাদী শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷''
‘‘আমরা এমন শাসকগোষ্ঠীর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেবো না, যারা অ্যামেরিকার মৃত্যু কামনা করে এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার হুমকি দেয়,'' ট্রাম্প বলেন৷
পরমাণু চুক্তি সই করা ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবার পরও চুক্তিটি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷ তবে তারাও ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রাম এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কর্তৃত্ব রাখার প্রক্রিয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷
খামেনেই বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপকেও ‘বিশ্বাস করা যায় না'৷
জেডএ/এসিবি (এপি, এএফপি)