অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলবে: এর্দোয়ান
২২ জুন ২০২১গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এর্দোয়ান। তারপরই তিনি মনে করছেন, অ্যামেরিকা ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলবে।
এমন নয় যে, তুরস্কের সঙ্গে অ্যামেরিকার মতবিরোধ আর নেই। এখনও অনেক বিষয়েই তারা একমত নয়। তা সত্ত্বেও এর্দোয়ান মনে করেন, আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে।
কী বলেছেন এর্দোয়ান
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর্দোয়ান বলেছেন, ''বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ছিল পুরোপুরি ইতিবাচক। আমরা অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের লাভ পুরোপুরি তুলতে বদ্ধপরিকর।''
এর্দোয়ান জানিয়েছেন, ''বাইডেন প্রশাসনের কাছে তার দুইটি দাবি আছে। সেটা হলো, প্রতিটি ক্ষেত্রে তুরস্কের আর্থিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বকে যেন সম্মান জানানো হয় এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে অ্যামেরিকা যেন সাহায্য করে।''
কোথায় মতবিরোধ
তবে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে এখনো মতবিরোধ আছে। যেমন, এর্দোয়ান মনে করেন, সিরিয়ায় কুর্দিদের সব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ, তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পিকেকে-কে সমর্থন করে। কিন্তু অ্যামেরিকা কুর্দিদের কিছু সংগঠনকে সমর্থন করে। কারণ, অ্যামেরিকার মতে, ওই সংগঠনগুলি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
রাশিয়া তুরস্ককে এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রি করছে। অ্যামেরিকা এর বিরোধী। তাদের মতে, তুরস্কের হাতে এই ক্ষেপনাস্ত্র এলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে।
এর্দোয়ান আবার অনেক সময়ই অ্যামেরিকার ইসরায়েল নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের বিরোধী।
তবে কিছু ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা ও তুরস্ক সহযোগিতার রাস্তায় চলেছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়েও তারা একমত।
জিএইচ/এসজ(রয়টর্স, এএফপি)