1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় ঘৃণা ছড়ানো লাখো ভিডিও সরালো টিকটক

২১ আগস্ট ২০২০

অ্যামেরিকায় তিন লাখ ৮০ হাজার ভিডিও সরিয়ে দিল টিকটক। এক হাজার ৩০০ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। কারণ সেখান থেকে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছিল।

https://p.dw.com/p/3hHJx
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Porzycki

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নোটিস দিয়ে রেখেছেন টিকটক-কে। কোনো মার্কিন সংস্থা যদি তাঁদের কিনে নেয় তা হলে ঠিক আছে, না হলে আর কিছুদিন পরে অ্যামেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় টিকটক বিপুল পরিমাণ ভিডিও সরিয়ে দিল। বন্ধ করে দিল এক হাজার ৩০০ অ্যাকাউন্ট। কারণ ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে, ভিডিওর মাধ্যমে বর্ণবাদ ও ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছিল। একই কারণে ৬৪ হাজার কমেন্ট বা মতামতও মুছে দেয়া হয়েছে।

অ্যামেরিকায় টিকটকের প্রধান এরিক হান ব্লগ পোস্টে বলেছেন, ''আমাদের লক্ষ্য টিকটক থেকে ঘৃণা ও বিদ্বেষ দূর করা। হয়তো এখনো সব ঘৃণার পোস্ট মুছে দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এর থেকে আমাদের দায়বদ্ধতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।''  

আর এই অ্যাপের মালিক বাইটড্যান্স বলেছে, ''যে সব পোস্টে জাতি ভিত্তিক মন্তব্য ছিল, দাসপ্রথা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ছিল, সে সবই মুছে দেয়া হয়েছে।''

টিকটক হলো ছোট ভিডিও ভিত্তিক অ্যাপ। সম্প্রতি অ্যামেরিকায় টিকটক নিয়ে খুব হইচই হচ্ছে। ট্রাম্প বলেছেন, টিকটক অ্যামেরিকার নিরাপত্তা, বিদেশ নীতি ও অর্থনীতিতে বিপদের কারণ। অভিযোগ, টিকটক অ্যামেরিকার লোকেদের সম্পর্কে তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দিচ্ছে। টিকটক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  সম্প্রতি সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা কখনই অ্যামেরিকার টিকটক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য চীন সরকারকে দেয়নি। ভবিষ্যতেও দেবে না। এই সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। 

অ্যামেরিকার সংস্থা মাইক্রোসফট এখন টিকটক কেনার জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে। ট্রাম্প তা অনুমোদনও করেছেন। তবে তিনি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।  ট্রাম্প অবশ্য অভিযোগ করেছেন, টিকটক সরকারি কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য চীনকে দিয়েছে এবং তারা কর্পোরেট চরবৃত্তির সঙ্গেও জড়িত। চীন এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)