অ্যামেরিকায় টর্নেডো: এখনো নিখোঁজ বহু, জল-বিদ্যুৎ নেই
১৪ ডিসেম্বর ২০২১টর্নেডোর তাণ্ডবের পর অ্যামেরিকা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। পাঁচ রাজ্য তছনছ করে দেয়া ভয়ংকর টর্নেডোর ফলে একশর বেশি মানুষ মারা গেছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেনটাকি। সেখানকার গভর্নর জানিয়েছেন, এখনো অনেকে নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ও বিদ্যুৎ নেই।
কেনটাকির মেয়র সোমবার সন্ধ্যায় বলেছেন, কেনটাকিতে এখনো পর্যন্ত ৭৪ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ ১০৯ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কেনটাকি তছনছ করে দিয়েছে টর্নেডো।
কেনটাকির অবস্থা
গভর্নর জনিয়েছেন, কেনটাকির ইতিহাসে এমন ভয়ংকর টর্নেডো আগে কখনো আসেনি। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মৃতদের উদ্ধার করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তিনি জানিয়েছেন একটি মোমবাতি তৈরির কারখানায় আটজন মারা গেছেন। ৯৪ জন নিরাপদে আছেন বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তারা ভেবেছিলেন ওখানে মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হবে। কিন্তু ৯৪ জন নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে পারায় তিনি কিছুটা স্বস্তিতে। গভর্নর জানিয়েছেন, তার আশা, এই খবর ঠিক।
বহু রাজ্যের উপর দিয়ে
ইন্ডিয়ানা, মিসৌরি, আরকানসাস, টেনেসি, ইলিনয়ের একটা অংশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই ঘৃর্ণিঝড়। যেখান দিয়ে টর্নেডো গেছে, সেখানে শুধু ধ্বংসের ছবি। ঘরবাড়ি উড়িয়ে দিয়ে, গাছপালা উপড়ে ফেলে, ফসল নষ্ট করে, চলে গেছে টর্নেডো। ৩০ হাজার ফুট উঁচুতেও খড়কুটো উড়তে দেখা গেছে।
হাজার হাজার মানুষ এখন বিদ্যুৎ ও জল ছাড়া আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে বলে কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বিপর্যয়ের পিছনে অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া কাজ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই কেনটাকিকে 'ফেডারেল ডিসাস্টার এরিয়া' বলে ঘোষণা করেছেন। ফলে সেখানে ঢালাও ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বুধবার কেনটাকি যেতে পারেন।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)