1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্লোরিডায় তল্লাশি

২৬ অক্টোবর ২০১৮

ওবামা, ক্লিন্টন ও অন্যদের উদ্দেশ্যে পাঠানো পার্সেল বোমা সম্ভবত ফ্লোরিডা রাজ্য থেকে পাঠানো হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণমাধ্যমের একাংশকে এ জন্য দায়ী করেছেন৷

https://p.dw.com/p/37EKc
নিউ ইয়র্ক শহরে পার্সেল বোমা আতঙ্ক
ছবি: Reuters/K. Coombs

চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পার্সেল বোমা পাঠানো হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো এমন বিস্ফোরক পেয়েছেন৷ ফলে এখনো পর্যন্ত মোট ১০টি পার্সেল বোমার কথা জানা গেছে৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরো এমন পার্সেল বোমার অস্তিত্ব উড়িয়ে দিতে পারছে না৷ তাই জোরকদমে তদন্ত চলছে৷ এখনো পর্যন্ত সব তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে, সম্ভবত ফ্লোরিডা রাজ্য থেকেই সবক'টি পার্সেল বা তার অংশবিশেষ পাঠানো হয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার রাতে ফেডারেল এজেন্টরা মায়ামি শহরের কাছে ডাক বিভাগের একটি স্থাপনায় তল্লাশি চালিয়েছেন৷

তদন্তকারীরা এই পার্সেল বোমা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়েছেন৷ তাঁদের মতে, ইন্টারনেটে বোমা তৈরির যে ডিজাইন পাওয়া যায়, সম্ভবত তা দেখেই এই বিস্ফোরক তৈরি করা হয়েছে৷ অত্যন্ত বিপজ্জনক এই বোমা ‘লাইভ এক্সপ্লোসিভ', অর্থাৎ যে কোনো সময়ে তার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে৷ বিভিন্ন পথে সেগুলি গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হলেও প্রত্যেকটি পার্সেল কোনো-না-কোনো পর্যায়ে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছিল৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা হিসেবেই গণ্য করছে৷

সৌভাগ্যবশত একটি বোমাও বিস্ফোরিত হয়নি৷ তাই অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, হত্যার বদলে সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য৷ প্রাপকরা সবাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত৷ তাঁদের মধ্যে বারাক ওবামা ও বিল ক্লিন্টনের মতো দু-দুজন প্রেসিডেন্টও রয়েছেন৷ ট্রাম্প নিজেও বার বার তাঁদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছেন৷ তাই প্রেরক আসলে ট্রাম্প-সমর্থক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷

দেশজুড়ে এমন সংকট সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ও আচরণের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে৷ প্রথমে ট্রাম্প সংকটের সময়ে ঐক্যের ডাক দিলেও বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে ‘বিষাক্ত পরিবেশের' জন্য দায়ী করেছেন৷ তাঁর মতে, বর্তমানে সমাজের মধ্যে ক্রোধের যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তার একটা বড় অংশ মূল স্রোতের সংবাদ মাধ্যমের ত্রুটিপূর্ণ সংবাদের কারণে ঘটছে৷ তিনি এ ধরনের খবরকে ‘ফেক নিউজ' বলে থাকেন৷ নির্বাচনের ঠিক আগে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের মধ্যেও বিদ্বেষ বাড়ছে৷ রিপাবলিকান সমর্থকদের অভিযোগ, পার্সেল বোমার জন্য প্রেসিডেন্টকে দায়ী করা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)